যখন ড্রেসিংরুমে বসে খেলা দেখছিলাম মনে হয়েছিল ম্যাচ অবশ্যই জিতব, ইনশাআল্লাহঃ শামিম

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ১-১ সমতার পর অলিখিত ফাইনালে বা শেষ টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড রান তাড়া করে জিম্বাবুয়েকে হারালো বাংলাদেশ। সৌম্যর ফিফটি আর মাহমুদউল্লাহ-শামিমদের ব্যাটে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজও নিজেদের করে নিল সফরকারীরা।

আর এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের পিছনে অন্যতম কারিগর তরুণ অলরাউন্ডার ব্যাটসম্যান শামিম হোসেন পাটোয়ারী। অভিষেক ম্যাচেই দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন কিন্তু ম্যাচটি বাংলাদেশ হারে। তাই পরের ম্যাচে জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার সংকল্প করেছিলেন তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অভিষেক হয়ে শামিমের। অভিষেক ম্যাচে ১৩ বলে ২৯ রান করেছিলেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ক্ষুরধার তার ব্যাটিং। ১৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন। প্রথম ম্যাচ খেলার পরেই পরের ম্যাচটি জেতানোর পরিকল্পনা ছিল তার মাথায়।

ম্যাচ শেষে শামিম বলেন, আসলে প্রথম আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো লাগছে। গত ম্যাচটি আমি জিতিয়ে আসতে পারিনি। আমার মধ্যে একটা ক্ষুধা ছিল যদি পরবর্তী ম্যাচে সুযোগ পায় তাহলে আমার লক্ষ্য হবে ম্যাচ জেতানো। আজ আমি সেটা পেরেছি, অনেক ভালো লাগছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাঠে নেমে ক্রিজে পেয়েছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। অধিনায়ক তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রতি ওভারে বাউন্ডারি হাঁকানোর জন্য। শামীমও সেই পরামর্শ মেনেই ব্যাটিং করেছেন এবং সফল হয়েছেন।

শামিম আরো বলেন, রিয়াদ ভাই আমাকে বলছিলেন যে প্রতি ওভারে ১০ রান করে হলে ম্যাচ সহজেই আমাদের কাছে চলে আসবে। একটি করে ছয় কিংবা চার মারতে পারলেই হয়ে যাবে। আমিও আমার সেই পদ্ধতি মাথায় রেখে খেলেছি।

সৌম্য ও রিয়াদের ব্যাটিংয়ের সময়েই মূলত ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে হেলতে থাকে। তখন থেকেই শামিমের বিশ্বাস ছিল ম্যাচটি বাংলাদেশই জিতবে, যখন সৌম্য ভাই ও রিয়াদ ভাই ব্যাটিং করছিলেন, তখন সবকিছুই আমাদের দিকে ছিল। আমি যখন ড্রেসিংরুমে বসে খেলা দেখছিলাম মনে হয়েছিল আজকের ম্যাচ অবশ্যই জিতব, ইনশাআল্লাহ।

নিজের অভিষেক সিরিজে জয় পেয়ে উচ্ছ্বসিত শামিম বলেন, আমার যেহেতু টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে অভিষেক হলো, আমার অনেক ভালো লাগছে আমরা সিরিজ জিততে পেরেছি। আমার জন্য ভালো হয়েছে এবং দলের জন্যও ভালো হয়েছে।