যেই অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েই কি সংসার ভাঙলেন আমির!

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান শনিবার সকালেই একেবারে বোমা ফাটালেন । স্ত্রী কিরণ রাওকে সঙ্গে নিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে আমির জানিয়ে দিলেন তাঁরা ১৫ বছরে দাম্পত্যে ইতি টানতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, এই বিবৃতিতেই আমির ও কিরণ জানিয়ে দিলেন তাঁদের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই আচমকা নয়, বরং বহু আলোচনার পরেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা।

আমির ও কিরণের বিবাহবিচ্ছেদের খবর পাওয়ার পর স্বভাবতই বলিউডে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। ঠিক কী কারণে ১৫ বছর পর কিরণ ও আমির এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়েও নানা খবর ঘুরছে বলি পাড়ায়। তবে এসবের মাঝে নিন্দুকদের নজর গিয়ে ঠেকেছে আমিরের ‘দঙ্গল’ ছবি থেকে বলিউডে পা রাখা অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখের দিকে! অনেকে মনে করছেন ফতিমার প্রতি আমিরের দুর্বলতাই নাকি এই ডিভোর্সে অনুঘটক রূপে কাজ করেছে।

অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখের সঙ্গে আমিরের সম্পর্কের কথা গুঞ্জনপাড়ায় নতুন নয়। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় আমিরের দঙ্গল ছবি। এই ছবিতে সুন্দরী ফতিমা সানা শেখকে সুযোগ দেন আমির। শোনা যায়, ফতিমার অডিশন দেখে আমিরই সবুজ সংকেত দেখিয়েছিলেন। তারপর থেকেই আমির-ফতিমাকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু। বলিউডের নানা পার্টিতে আমিরের সঙ্গে দেখা যেত ফতিমাকে। আমিরের হাতে হাত দিয়ে মুম্বইয়ের বহু জায়গাতেই ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে ফতিমা ও আমিরকে। এ খবর কিরণ রাওয়ের কানেও গিয়ে পৌঁছায়। তবে এই গুঞ্জন আরও বেড়ে যায়, আমিরের কথাতে আদিত্য চোপড়ার ‘ঠগস অফ হিন্দুস্তান’ ছবিতে ফতিমার সুযোগ পাওয়ার পর থেকে। শোনা যায়, বহু প্রযোজক ও পরিচালককেও নাকি আমির নিজে ফোন করে ফতিমাকে সুযোগ দেওয়ার কথা বলেন। নিন্দুকেরা মনে করছেন ফতিমার প্রতি আমিরের এই প্রেমই ধীরে ধীরে কিরণ রাওয়ের সংসারে আগুন লাগায়। আর যার ফল এই বিবাহবিচ্ছেদ।

আমির এ ব্যাপারে কখনই মুখ খুলতে চাননি। তবে এক সাক্ষাৎকারে আমির প্রসঙ্গে ফতিমা বলেছিলেন, “আমিরকে আমার ভাল লাগে। আর সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনও প্রেমের সম্পর্ক নেই। বরং আমিরকে আমি মেন্টর মনে করি। এই গুঞ্জন একেবারেই ঠিক নয়।