রাজাকার-পুত্রের দম্ভ দেখে হতভম্ব হয়ে যাই: আইজিপি

স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসে রাজাকার পুত্রের দুঃসাহস দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

তিনি আরো বলেছেন, আমরা হতভম্ব হই, যখন দেখি রাজাকার-পুত্ররা দম্ভের সঙ্গে চিৎকার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছে, আমি রাজাকার পুত্র। স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে এ রাজাকারের পুত্র-সন্তানরা কীভাবে এ দুঃসাহস পায়; যারা বাংলার মাটিতে দুই লাখ নারীর সম্ভ্রম হরণ করেছে, লাখ লাখ মানুষকে খুন করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে। এ গণহত্যার দোসররা মাত্র ৫০ বছরের মধ্যে আস্ফালন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোটি কোটি মানুষের সামনে বলে তারা রাজাকার পুত্র। এ দম্ভ চূর্ণ করতে হবে দেশের সাধারণ মানুষকেই।

বুধবার (২৮ জুলাই) পুলিশ সদর দফতর থেকে ভার্চুয়ালি নোয়াখালী জেলা পুলিশ নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’, নবনির্মিত সুধারাম মডেল থানা, সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ লাইন্স নারী ব্যারাক ভবন উদ্বোধন এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি এসব কথা বলেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে পূর্বসূরিরা যে দেশটিকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন, তাদের যে অনবদ্য আত্মত্যাগ, সে আত্মত্যাগের মর্যাদা ধরে রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। এটি একটি ঐতিহাসিক দায়, একটি ঐতিহাসিক কর্তব্য।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ যে দুর্নিবার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিল, আমাদের সেই অহংকারের জায়গাগুলোকে আরও সুসংহত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে এই ধরনের পুস্তক, ভাস্কর্য হতে পারে অন্যতম নিয়ামক, যাতে আমরা কখনও ইতিহাস বিস্মৃত না হই।

বেনজীর আহমেদ বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের যে অবদান, ভূমিকা রয়েছে তা দুটি কারণে ডকুমেন্টেড হওয়া দরকার। একটি হলো জাতির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ হিসেবে এবং অপরটি হলো বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ইতিহাস, ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে।

এসময় প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান আইজিপি।