প্রানঘাতী করোনাকালে দরিদ্র মানুষের মুখে নিজ উদ্যোগে আহার তুলে দিয়েছেন। রমজান মাসে ইফতার সামগ্রি তৈরি করে গাড়িতে করে ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণ করতেও দেখা গেছে ফারমিস আক্তার নামে এক নারিকে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) মধ্যরাতে নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে সড়কটি সংস্কার করতে দেখা যায় ওই নারীকে।
সিলেট নগরের মীরের ময়দান এলাকার বাসিন্দা তিনি। তিনি কোনো সরকারি কর্মকর্তা নন কিন্তু নিজ খরচায় করেন সমাজসেবামূলক কাজ। এবার রাতের আধারে সড়ক সংস্কার করেছেন। তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন।
নগরের রিকাবিবাজার থেকে চৌহাট্টা ভিআইপি সড়কের পাশেই অবস্থিত করোনার বিশেষায়িত শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল। ওই সড়কে দীর্ঘদিন ধরে গোয়ালিছড়ার ওপর কালভার্টের দু’পাশে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে আছে। কালভার্ট সংলগ্ন সড়কের খানাখন্দ বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বড় বড় গর্তে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স থেকে শুরু করে রোগী বহনকারী যানবাহন ওই খানাখন্দে পড়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সড়কের সংস্কার কাজটি দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রেখেছে। ফলে যানবাহনে যাতায়াতকারীদের ওই স্থানটিতে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। বিষয়টি দৃষ্টি এড়ায়নি সমাজকর্মী ফারমিস আক্তারের। স্বেচ্ছায় কংক্রিট, সিমেন্ট নিয়ে নির্মাণ শ্রমিকসহ রাতের আধারে সড়কটি সংস্কারে হাত দেন তিনি।
ফারমিস আক্তার বলেন, অক্সিজেন লাগিয়ে রোগী যখন গাড়িতে করে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন ভাঙা সড়কে এসে খুব জোরে ধাক্কা লাগে। মোটরসাইকেল আরোহীরাও খানাখন্দে এসে দুর্ঘটনায় পড়েন। বিষয়টি দেখে খারাপ লেগেছে। তাই নিজেই শ্রমিক লাগিয়ে তাদের সঙ্গে সংস্কারে নেমে পড়েছি।
ফারমিস আক্তার আরও বলেন, আমি কোনো সরকারি কর্মকর্তা না। সরকারি চাকরিও করি না। আমার দেখে খারাপ লেগেছে, তাই স্ব উদ্যোগে সড়কটি মেরামত করছি। এই কাজে আমার স্বামীও সাহায্য করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেনে সোহাগ নামের একজন সিমেন্ট দিয়েছেন। আমরা সরকারের ওপর নির্ভর না হয়ে নিজেরাই কিছু করি। অন্তত প্রত্যেকের বাসার সামনের সড়কটি ভাঙা দেখলে মেরামতের উদ্যোগ নেই। নিজের বিবেকের তাড়নায় এ কাজ করি।