সকালে দেশে আসবে বাংলাদেশ, বিকালে অস্ট্রেলিয়া

আগামী ৩ আগস্ট থেকে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দু’দলের মাঠের লড়াই শুরু হতে ৭ দিন সময় থাকলেও এখনো ঢাকায় নেই কোন দলই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতে এখনো সেখানেই অবস্থান করছে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল। ওই দল নিয়েই অজিদের বিপক্ষেও খেলবে টাইগাররা। অন্যদিকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডে সিরিজ জিতে বাংলাদেশে আসবে অস্ট্রেলিয়া। এখন ক্যারিবিয়ানদের দেশে অবস্থান করছে তারা। সেখান থেকেই সরাসরি বাংলাদেশ আসবে ক্যারি-ওয়েডরা। জানা গেছে দুই দলই ঢাকায় পৌছাবে একই দিনে।

আগামী বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে সাকিবদের। তার আগে আগামী ২৮ জুলাই (বুধবার) স্থানীয় সময় সকালে হারারে থেকে দেশের উদ্দেশ্যে শুরু হবে টাইগারদের বিমান যাত্রা। হারারে থেকে প্রথমে জোহানেসবার্গ, তারপর কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে রাজধানী ঢাকায় এসে পৌঁছাবে টাইগারদের বহর।

২৯ জুলাই দেশে ফিরেও কোন ক্রিকেটার নিজ নিজ আলয়ে যেতে পারবেন না। যাওয়ার সুযোগও নেই। কারণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ দরজায় কড়া নাড়ছে। আগামী ৩ আগস্ট থেকে শুরু পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। সে লক্ষ্যে দেশে ফিরেই টিম বাংলাদেশের প্রতিটি ক্রিকেটার, কোচিং ও সাপোর্টিং স্টাফকে গিয়ে ঢুকতে হবে হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। আর তাই জাতীয় দলের বহর সরাসরি বিমানবন্দর থেকে চলে যাবে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে। সেখানে তিনদিন বিরতির পর আগামী ১ আগস্ট থেকে আবার অনুশীলন শুরু। দুইদিন প্র্যাকটিসের পর ৩ আগস্ট প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

অন্যদিকে সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রাজধানীতে এসে পৌঁছাবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। আগেই জানা, অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের বেশ কজন সদস্য আসবেন না বাংলাদেশ সফরে। শেষ দিকে ইনজুরির শিকার হয়ে বাংলাদেশ সফর থেকে ছিটকে পড়েছেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চও।

ঢাকায় আসার পর তিন দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে ৩ আগস্ট টিম বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে অসিরা। এরপর ৪ আগস্ট দ্বিতীয় ম্যাচ। তারপর একদিন বিরতি। আবার ৬ ও ৭ আগস্ট পরপর দুদিন আরও দুটি ম্যাচ। পরে ৮ আগস্ট বিরতি দিয়ে ৯ আগস্ট সফরের শেষ ম্যাচ।