আমি কখনও ইভ্যালিকে প্রোমোট করিনি: শবনম ফারিয়া

বর্তমান সময়ের সেরা আলোচিত জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। আলোচনা- সমালোচনা নিয়েই তার ক্যারিয়ার। বরাবরই তিনি আলোচনায় থাকেন। ফের খবরের শিরোনাম হলেন এই অভিনেত্রী।

নতুন খবর হচ্ছে, শবনম ফারিয়া মাস তিনেক আগে ইভ্যালিতে যোগ দিয়েছিলেন। জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম দিকেই ইভ্যালি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। এমনকি প্রতিষ্ঠানটি থেকে নাকি কোন বেতনও পাননি এ তারকা।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে এমন খবর বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। কিন্তু ফারিয়া জানান, তার সঙ্গে কথা না বলেই এমন সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এ জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ অভিনেত্রী।

শনিবার সন্ধ্যায় শবনম ফারিয়া বলেন, ‘কিছু বিষয় এখন পরিষ্কার করার সময় এসেছে। আমি জুন, জুলাই দুই মাস ইভ্যালির গণসংযোগ বিভাগে কাজ করেছি। আমি সেখানে যোগদানের ১৫ দিন পর থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি রিপোর্ট চলে আসায় তাদের কার্যক্রম অনেকটাই কমে এসেছিল। জুলাইয়ের পর আমার দাপ্তরিক কোনো কাজই ছিল না! তাই আগস্টে আমি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আসি। ’

এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন, আমাকে দেখে কেউ অর্ডার করে থাকলে তাতে আমার মতামত কী? আমি যোগদানের পরের সপ্তাহ থেকেই সাইক্লোন অফার বন্ধ হয়ে টি-টেন চালু হয়। যেটি ছিল, পণ্য পেলেই টাকা দেবে! সুতরাং আমাকে দেখে অর্ডার দিয়ে ফেঁসে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কেউ নিজেকে এসব বলে সান্ত্বনা দিলে কিংবা নিজ স্বার্থ হাসিলে শুধু হেনস্তা করার জন্য। আমাকে টানলে আমার সত্যিই কিছু বলার বা করার নেই। ’

শবনম ফারিয়া আরও বলেন, ‘আমি কখনও প্রকাশ্যে এই কোম্পানিকে প্রোমোট করিনি। কখনো বলিনি আপনারা বিশ্বাস রাখেন কিংবা আস্থা রাখেন। দাপ্তরিক কাজের বাইরে আমার কোনো কিছু প্রচার বা প্রকাশের কোনো চুক্তি ছিল না। আমার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে এক হাজার কোটি টাকার যে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল সেই সংবাদ শেয়ার করেছিলাম। যেটা দেশের ফেসবুক ইউজারদের সম্ভবত অর্ধেক মানুষই শেয়ার করেছিল। ’

চাকরি ছেড়ে দিলেও কেন বিষয়টি জানাননি? এ বিষয়ে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘আমি অহেতুক আলোচনার অংশ হতে চাইনি। আরিফ আর হোসাইন (ইভ্যালির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা) ভাই যখন বললেন, তিনি আর এখানে কাজ করছেন না। তখনও আপনারা তাকে নিয়ে ট্রোল করলেন। চাকরি ছাড়লেও সমস্যা, কাজ করলেও সমস্যা! কোথায় যাবো? অপ্রয়োজনীয় আলোচনার অংশ হতে ভাল লাগে না। কিন্তু আমার ভাগ্য এতো খারাপ কেন যেন আমাকেই সবসময় আলোচনা-সমালোচনায় পড়তে হয়। ’