আল্লামা শফীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে কোনো আয়োজন নেই হেফাজতের

“মৃত্যু” এক নির্মম, কঠিন বাস্তবতার নাম। মৃত্যু এমন এক মেহমান, যে দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই! মৃত্যু যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষের সামনে, যেকোন সময়ে উপস্থিত হতে পারে!

নতুন খবর হচ্ছে, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির ও চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি।

এর একদিন আগে আগে হাটহাজারী মাদ্রাসায় আল্লামা শফী পুত্র মাওলানা আনাস মাদানী এবং তার অনুসারীদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ তুলে মাদ্রাসার কিছু ছাত্র আল্লামা শফীকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করে। দুই দিনের বিক্ষোভের পর ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শূরা কমিটির সভায় মাদ্রাসার পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে।

তবে আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর মাওলানা আনাস ও তার অনুসারীরা গত এক বছরে হেফাজত ইসলাম এবং হাটহাজারী মাদ্রাসায় আর সুবিধা করতে পারেনি বলে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ বর্তমান কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে কেন্দ্রীয় এক হেফাজত নেতা জানান, মৃত্যুর এক বছর যেতে না যেতেই হাটহাজারী মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হাতছাড়া হয়ে গেছে প্রয়াত আল্লামা শফীর অনুসারীদের। একই সঙ্গে তার নিজ হাতে গড়া সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশেও তিনি উপেক্ষিত। এ কারণে তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে আজ শনিবার তার দল কিংবা মাদ্রাসায় বিশেষ কোনো দোয়া অনুষ্ঠান হচ্ছে না, অন্য কোনোভাবেও স্মরণ করা হচ্ছে না তাকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সারাদেশের কওমি মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে সঙ্গবদ্ধ করে ২০১০ সালে আত্মপ্রকাশ করে দেশের ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, আল্লামা শফীর নেতৃত্বের কারণেই মূলত হেফাজত দেশে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়।