জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগ্লু। শুক্রবার আলোচিত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। খবর ডেইলি সাবাহর।
নতুন খবর হচ্ছে, আফগানিস্তানের সরকারে যেন তাজিক, উজবেক এবং হাজারাসহ সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব থাকে সে লক্ষ্যে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
টুইটারে এক পোস্টে তিনি জানান, তাজিকিস্তানে সম্প্রতি সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের এক শীর্ষ সম্মেলনে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে ৪০ বছর ধরে যুদ্ধ চলার পর নতুন সরকারে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব থাকলে তবেই সে দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।
তালেবানের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশিরভাগ সদস্যই পশতুন জাতিগোষ্ঠীর এবং মন্ত্রীসভায় একজনও নারী নেই।
বিবিসির সংবাদদাতা লিস ডুসেট সম্প্রতি এক নিবন্ধে লিখেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তালেবান নেতারা এসব কথা বলে আসছিলেন, আমরা এমন একটি সরকার গঠন করার চেষ্টা করছি যেন আফগানিস্তানের সব জনগণের প্রতিনিধিত্ব থাকে।
এর আগে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ্ মুজাহিদ বলেছিলেন, আমরা শান্তিতে বসবাস করতে চাই। ঝড়ের গতিতে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর গত ১৫ অগাস্ট কাবুলে তালেবানের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমরা দেশের ভেতরে বা বাইরে কোন শত্রু চাই না।
তবে তালেবান সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা একেবারেই হয়নি বলে ওই নিবন্ধে লিখেছেন লিস ডুসেট।