ইমরুলের ফিফটির পর মুশফিক-মিঠুনের ব্যাটে ‘এ’ দলের দাপুটে জয়

বর্তমান সময়ের বাংলাদেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র মুশফিক-ইমরুল। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটাররা।

নতুন খবর হচ্ছে, চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসের ব্যাটে ভর করে এইচপি দলের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে এই সিরিজে খেলছেন মুশফিক। প্রথম ম্যাচেই বড় রান করে প্রস্তুতিটা ভালোই শুরু করলেন মিঃ ডিপেন্ডেবল।

এইচপির দেওয়া ২৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ‘এ’ দলের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। ওভারপ্রতি প্রায় ১০ গড়ে রান তুলে ৪ ওভারেই ৩৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্তই ছিলেন আক্রমণের অগ্রভাগে; চতুর্থ ওভারে শামীম হোসেনের বলে আউট হবার আগে খেলেছেন ৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। নিজের বলে নিজেই দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন শামীম।

এরপর ২য় উইকেটে মুমিনুল ও ইমরুল গড়েন ৫৮ রানের জুটি। দলীয় ৯৩ রানে মুমিনুল আউট হন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। এরপর ব্যাটিংয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম। ইমরুল ও মুশফিক তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন আরো ৫৯ রান। ৫ বাউন্ডারিতে ৮১ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে ইমরুল বিদায় নিলেও মুশফিক ধরে থাকেন হাল। ৭৭ বলে ৫০ স্পর্শ করেন তিনি। এরপর আর উইকেটের পতন হয়নি; মুশফিক আর মিঠুন দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ৯১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭০* রান করেন মুশফিক, মিঠুন করেন ২৩ বলে ২৮*। এইচপি দলের পক্ষে পেসার সুমন খান নেন ৫২ রানে ২ উইকেট।
মুশফিকুর রহিম করেছেন ৭০* রান

এর আগে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ম্যাচের শুরুতেই শহীদুল ইসলামের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান পারভেজ হোসেন ইমন। এরপর তানজিদ হাসান তামিম ও মাহমুদুল হাসান জয় বিপর্যয় সামাল দেওয়ার কাজ শুরু করেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে গড়েন ১৩০ রানের জুটি। তানজিদ তামিম হয়েছেন সেঞ্চুরি বঞ্চিত, খেলেছেন ৮১ রানের ইনিংস।
ফিফটির পর তানজিদ তামিমের উদযাপন

এরপর অধিনায়ক আকবর আলী ও শাহাদাত হোসেন দিপুর মাঝেও ৫১ রানের জুটি হয়। অবশ্য এরপরই আবারো ধ্বস নামে এইচপির ব্যাটিংয়ে। শহিদুল ইসলামের বলে ২৪ বলে ২৮ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আকবর আলী। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা শামীম হোসেনও খুব বেশিকিছু করতে পারেনি। ফিফটির ঠিক পরপরই রুবেল হোসেনের শিকার হন শাহাদাত; ফেরেন ৫১ রানে। লেজ ছেঁটে দেন মোসাদ্দেক-রুবেলরা। এইচপি দলের ইনিংস শেষ হয় ৪৮.৪ ওভারে সব উইকেট খুইয়ে ২৪৭ রানে। ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও শহীদুল ইসলাম।