এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ

এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৬ উইকেটে জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯.৩ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

এই দিন ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই নিউ জিল্যান্ডের ওপেনার রাচিন রবীন্দ্রকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন নাসুম আহমেদ। আউটসাইড অফে নাসুমের ঘূর্ণি বলে সুইপ করতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্র।

কিন্তু ঠিকঠাক ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি। শর্ট ফাইন লেগ থেকে দারুণ ক্যাচ ধরেন সাইফউদ্দিন। প্রথম ওভারেই মেডেন নেন নাসুম আহমেদ। এক ওভার না যেতেই আবার আঘাত হানেন নাসুম। এবার ফেরালেন ফিন অ্যালেনকে। নাসুমের লেন্থ বলে রিভার্স সুইপ করতে যেয়ে পয়েন্টে ধরা পড়েন সাইফউদ্দিনের হাতে। ৮ বলে ১২ রান করেন অ্যালেন।

শুরুতেই দুই উইকেট হারানোর পর উইল ইয়ং-টম লাথাম জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাগড়া দিলেন শেখ মেহেদী। এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে পরাস্ত হন টম লাথাম। নুরুল হাসান সোহান স্ট্যাম্পিং করতে ভুল করেননি। ২৬ বলে ২১ রান করে ফেরেন লাথাম। ভেঙে যায় ৩৫ রানের জুটি।

শুরু থেকেই কিউইদের ভোগাচ্ছেন নাসুম আহমেদ। প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট নেওয়ার পর এবার নিজের চতুর্থ ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন তিনি। পরপর দুই বলে ফেরান হেনরি নিকোলস ও কলিন দি গ্র্যান্ডহোমকে। হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল এই স্পিনারের সামনে তবে নতুন ব্যাটসম্যান টম ব্লান্ডেল লাপিয়ে উঠা বলটি ব্যাট না বাড়িয়েই ছেড়ে দেন।

ওই ওভারে কোনো রান না দিয়ে জোড়া শিকার করেন নাসুম। ১৬তম ওভারে বল করতে এসে দ্বিতীয় বলেই ব্লান্ডেলকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। মিডঅনে থাকা নাঈম শেখের দারুণ ক্যাচে ১০ বলে মাত্র চার রান করেন ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। একই ওভারের শেষ বলে কোল ম্যাককনচিকে ফেরান মোস্তাফিজ। নিজে বল করে নিজেই দারুণভাবে ক্যাচটি ধরেন। ৩ বলে ০ রান আসে ম্যাককনচির ব্যাট থেকে। ইনিংসের ১৮ তম ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন এর বলে বোল্ড আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আজাজ প্যাটেল।

তবে নিউজিল্যান্ডের হয়ে এদিন একাই হাল ধরেন উইল ইয়ং। শেষ ওভারে মোস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। বাংলাদেশের ওপেন নাসুম আহমেদ ১০ রানে চারটি। শেখ মেহেদী হাসান একটি এবং মোস্তাফিজুর রহমান ১৩ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন। ৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভালে লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম চার রান তোলেন। তৃতীয় ওভারে লিটন মিডউইকেট দিয়ে চার মারেন কোল ম্যাককনচিকে। পরের বলেই উইকেটের পতন। লিটন ৬ রান করে ফিন অ্যালেনের ক্যাচ হন। ডিপ মিডউইকেটে দারুণ ক্যাচ ধরেন কিউই ফিল্ডার।

মাত্র ৮ রান করে এজাজ প্যাটেলের বলে আউট হল সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং লাইন ছেড়ে বল মিস করেন। পেছন থেকে টম ল্যাথাম স্টাম্পিং করেন তাকে। মাঠে নেমে তিন বল খেলে কিউই স্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হন মুশফিকুর রহিম। ডাক মারেন তিনি। থিতু হওয়া মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জোড়া পতনের ধাক্কা সামলে দুজনের জুটি থেকে আসে ৩৪ রান। ৩৫ বলে ২৯ রান করেন প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাঈম শেখ। তবে বাকি কাজটুকু করে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।