এখন কংক্রিটের পিলার ও স্টিলের ফ্রেম দিয়ে ঘর করে দেব: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের মাথাপিছু আয় আর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিই যার বড় প্রমাণ।

নতুন খবর হচ্ছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কিছু লোক হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ঘর ভেঙে গণমাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছে। এবারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাত্র ৯টি জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া গেছে। কিন্তু ৩০০টি জায়গায় ঘরের দরজা জানালা হাতুড়ি-শাবলের আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগের পর তদন্তে ঢিলেমি দেখিয়েছে দুদক। সে প্রশ্ন সামনে এনে বৃহস্পতিবার দুদককে কাঠগড়ায় দাঁড় করান প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কেন তদন্ত বন্ধ করে দিল – সে প্রশ্ন তুলেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা বলেন, আমার প্রশ্ন দুদক কেন তাদের তদন্ত বন্ধ করে দেবে? তদন্ত বন্ধ করার কথা না, তাদের সেটা চালু রাখতে হবে। তাদের জানাতে হবে যার ঘরগুলো ভাঙল তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল?

দুদককে হুশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন সংসদ সদস্যের কাছ থেকে জানলাম, দুদক বলেছে, আমরা তদন্ত করব কী, প্রধানমন্ত্রী যখন এ কথা বলেছেন! তো যে বা যারা ভেঙেছে তাদেরও নিশ্চয়ই কোনো উদ্দেশ্য ছিল। এখানে দুদকের কর্মকর্তাদের এমন কথা বলার কথা না। এখন আমি বলব, দুদকের যে কর্মকর্তা এটা বলেছে এবার তার ব্যাপারে খোঁজ আমরা নেব। আমি দুদককে বলব, যে ৩০০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রতিটা ঘরের বিষয়ে তদন্ত করতে হবে এবং রিপোর্ট দিতে হবে। অবশ্যই দিতে হবে। গরিবদের জন্য ঘর করে দেব আর সেখান থেকে দুর্নীতি করে টাকা মেরে খাবে সেটা মানতে আমি রাজি না।’

আশ্রয়ণের ঘর যেন আর ভাঙতে না পারে সেজন্য আরও মজবুত করে ঘর নির্মাণের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা ঠিক করেছি। এখন কংক্রিটের পিলার এবং স্টিলের ফ্রেম দিয়ে ঘর করে দেব, যাতে চট করে ভেঙে ফেলতে না পারে। যদি জানতাম আজ প্রশ্ন উঠবে তো ছবিগুলো সঙ্গে করে নিয়ে আসতাম। আগামী সভায় নিয়ে আসব।