কিছু বুদ্ধিজীবী বলেন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়: কৃষিমন্ত্রী

একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতোমধ্যে তিনি গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন খেতাব আর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য পদক, পুরস্কার ও স্বীকৃতির পালক এখন শেখ হাসিনার মুকুটে একের পর এক যুক্ত হচ্ছে।

নতুন খবর হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমাদের দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী বলেন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচন করার জন্য আইন করতে হবে। আমাদের সংবিধানে রয়েছে আইন করতে হবে। আমি তাদের সঙ্গে অবশ্যই একমত পোষণ করছি। তবে কোনোদিনই আইনি ভিত্তি ছাড়া এ দেশে নির্বাচন হয়নি।

আজ সোমবার বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলার আবদুস সালাম হলে আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানের ১৩তম প্রয়াণ দিবসে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, নোটিশ হয়েছে, সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছে। নানাভাবে এ দেশে নির্বাচন হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন হয়নি। আমরা বলি একানব্বইয়ের নির্বাচন খুবই স্বচ্ছ নির্বাচন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ নির্বাচন। ২০০৮ সালের নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর স্বচ্ছ নির্বাচন। সেটাই যদি হয় তখন তো আইনই ছিল না। তারপরও তো হয়েছে, যেটাকে আপনারা বলছেন সুষ্ঠু নির্বাচন।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এই সংবিধান ১৯৭২ সালে করা হয়েছিল। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা এই আইন করেননি কেন? তারাও কিন্তু আইন করেননি। নানা কারণে আইন হয়নি।’

বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা তো নির্বাচন করে ১৯৯১, ২০০১ সালে ক্ষমতায় গিয়েছিলেন। তখন কি বলেছিলেন, নির্বাচন সঠিক হয়নি’- প্রশ্ন রাখেন তিনি।