ঘরে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে স্ত্রী গায়ে আগুন দিল ইমাম

বিশ্বের যেসব দেশে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের হার বেশি, সেসব দেশের তালিকায় এসেছে বাংলাদেশের নাম। দেশের ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশই জীবনে কখনো না কখনো সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

নতুন খবর হচ্ছে, গাজীপুরের মাওয়া নতুন বাজার এলাকার ভাড়া বাসায় স্ত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শরিফ মাহমুদ নামে ইমামের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায়। স্বামী মাওলানা শরিফ মাহমুদের সঙ্গে তিনি বয়রাসালায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, পারিবারিকভাবে ২০১৯ সালের ১২ জুন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় এলাকায় মাওলানা শরিফ মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীপুরে যান শরিফ। সেখানে স্থানীয় ইয়াকুব আলী জামে মসজিদে ইমামতি শুরু করেন তিনি।

কিন্তু আর্থিক দৈন্যদশা ও পরকীয়ায় জড়িয়ে শরিফ কিছুদিন ধরে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে স্ত্রীর কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শরিফ। এ সময় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পরকীয়ার ঘটনা বলায় স্ত্রীকে তিনি মারধর শুরু করেন। এরপর রাত ৩টার দিকে উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্সে ওয়াজ বাজিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে তরুণীর চিৎকারে পাশের রুমের এক নারী এসে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে।

ঘটনার রাতে মোবাইলে খবর পেয়ে গাইবান্ধা থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান বাবা। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।