ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’, ঢাকাসহ সারা দেশে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

এবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ ভারতের উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজকের মধ্যে এটি আছড়ে পড়তে পারে উপকূলে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও নদীবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ জন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সর্তকতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই কারণে ঢাকাসহ সারা দেশেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আজ রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উপকূলের দিকে যাচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। গুলাব রাতে ছিল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, সকালে তা আরও সরে গিয়ে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৫২০ কিলোমিটার, এখন ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দূরত্বে অবস্থান করছে।

একইভাবে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ছিল ৪৭০ কিলোমিটার, এখন আছে ৫২৫ দক্ষিণে, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার থেকে এগিয়ে এখন ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এদিকে গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থলের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপের কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।