পদ্মার পাড়ে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম

এবার আরও একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির অপেক্ষায় বাংলাদেশ। মানিকগঞ্জে পদ্মা নদীর কোল ঘেষা পাটুরিয়া ফেরীঘাটের পাশেই নির্মাণ হবে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা আজ পরিদর্শন শেষে জায়গা পছন্দের কথাও জানান।

এদিকে বছর দুয়েক আগে থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। মানিকগঞ্জে সফরে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা অবশ্য মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়।

আজ শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি স্থান পরিদর্শন করায় আভাস মিলল প্রকল্প আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। যা পরে যুব ও ক্রীড়া প্রতি মন্ত্রী জাহিদ আহসান খান রাসেল সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিশ্চিত করেন। তার সাথে পরিদর্শনে ছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, ‘এই জায়গাটি আমাদের প্রাথমিকভাবে পছন্দ হয়েছে। এই জায়গাটিতে আমরা স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মানিকগঞ্জে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। সে মোতাবেকই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। আগেই শুরু হয়েছিল, মাঝে করোনার জন্য থেমে গিয়েছে।’

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফিজিক্যাল স্টাডি টিম ওয়ার্ক অর্ডার পাবে বলে আশাবাদী জাহিদ আহসান রাসেল। ৩-৬ মাসের পর্যবেক্ষণ শেষে চলতি অর্থ বছরেই কাজ শুরু কর‍তে চান বলেও জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। ফিজিক্যাল স্টাডির জন্য ইতোমধ্যে বরাদ্দও হয়েছে ৪ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, ‘ফিজিক্যালি পরিদর্শনের টেকনিক্যাল টিমের কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। ইতোমধ্যে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিতে পারবো। টেকনিক্যাল টিমের পরিদর্শনে আপনারা জানেন বিভিন্ন ধরনের সমীক্ষা হয়, এখানকার মাটি উপযুক্ত কিনা, কত নিচে যেতে হবে এসব পরীক্ষার পরই করতে হয়।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘সাধারণত এটার জন্য ৩-৬ মাস সময় লাগতে পারে জায়গা অনুযায়ী। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প, উনি নিজে ঘোষণা করেছে তো আমরা চেষ্টা করবো এই অর্থ বছরেই যেন স্টেডিয়ামটির কাজ শুরু করতে পারি। ফিজিক্যাল স্টাডির জন্য আমরা ইতোমধ্যে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি।’