পুলিশ কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সোহেল বললেন ‘আর বাইকই চালাব না’

বর্তমানে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস বাংলাদেশের বেশ আলােচিত একটি বিষয় । প্রথমদিকে এটি কেবল রাজধানী ঢাকাতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন দেশের প্রায় বিশ থেকে পঁচিশটি জেলার মানুষ রাইড শেয়ারিং ‌এর সাথে পরিচিত ।

নিজের মোটরসাইকেলে আগুন লাগানোর পর প্রায় ১২ ঘণ্টা পুলিশের সঙ্গেই ছিলেন আলোচিত পাঠাও চালক শওকত আলী সোহেল। সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনারের কার্যালয় থেকে বের হন তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কেরানীগঞ্জের স্যানিটারি ব্যবসায়ী শওকত আলী প্রায় ৯ লাখ টাকা দেনা মাথায় নিয়ে দেড় মাস আগে মোটরসাইকেল নিয়ে রাইড সেবা দিতে নামেন।

দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ পাঁচ সদস্যের পরিবারের জীবিকার উৎস ছিল এই বাহন। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার সকালে সেটিকেই তিনি পুড়িয়ে দেন।

দিনভর রাতে বের হয়ে গুলশান বিভাগের ডিসি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সোহেল বলেন, ‘আর বাইকই চালাব না। সারাদিন মোটরসাইকেল চালাব আর অ্যাপ কোম্পানি ২৫ পারসেন্ট টাকা কেটে নিয়ে যাবে- এটা হয় না। আবার অ্যাপ ছাড়া বাইক চালালে পুলিশ মামলা দেবে- এইসব ক্ষোভেই আমি বাইক জ্বালিয়ে দিয়েছি।’

দিনের ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসা থেকে নিজের পুরনো টিভিএস ফ্লেম মোটরসাইকেলটি নিয়ে বের হয়ে যাত্রী নিয়ে গুলশানে যান। লিংক রোডের মোড়ে আরেক যাত্রী তোলার জন্য কথা বলছিলেন। সেই সময়ই পুলিশ এসে তার মোটরসাইকেলের কাগজ চায়।