বিশ্বকাপে সাকিবই তুরুপের তাসঃ মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে মাহমুদউল্লাহ অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ জিতে টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে বড় লাফ দিয়েছে বাংলাদেশ। মাসখানেকের ব্যবধানে ১০ থেকে ৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েই আরব আমিরাত ও ওমানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবশ্য মনে করছেন, নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের জন্য এই বিশ্বকাপই বাংলাদেশের জন্য সেরা মঞ্চ। অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশ্রণে গঠিত দল নিয়ে তাই বড় স্বপ্নই দেখছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

বিশ্বকাপ সামনে রেখে এক সাক্ষাৎকারে টি-টোয়েন্টি দলপতি কথা বলেছেন বাংলাদেশের শক্তিমত্তা, সম্ভাবনা, বোলিং বিভাগসহ একাধিক বিষয় নিয়ে। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের মতো এবারও লাল-সবুজের দলটির তুরুপের তাস সাকিব আল হাসান।

পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল-

প্রশ্ন: সব অধিনায়কেরই নেতৃত্ব দেয়ার একটা ধরন থাকে, তবে আপনার ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে। যেটা আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটেও দেখেছি। সর্বশেষ কয়েকটি সিরিজেও সেটা দেখেছি। পাওয়ার প্লে’তে অন্তত ৩-৪ জন বোলার ব্যবহার করা, বিশেষ করে ঘরের মাঠে খেলা হলে আপনি প্রথম ৩ ওভারে ৩ স্পিনারকে দিয়ে বোলিং করিয়েছেন পঞ্চম বা ষষ্ঠ ওভারে মুস্তাফিজকে নিয়ে এসেছেন বা অন্য কোন পেসারকে দিয়েছেন। বিদেশেও একই ধরণ তবে পেস এবং স্পিনের মিশ্রণ থাকে। ব্যাটসম্যানকে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলতেই কি এমন পরিকল্পনা?

মাহমুদউল্লাহ: আসলে প্যাটার্নের (ধরন) কিছু নেই। যে মুহূর্তে আমি মনে করি যে এই বোলারকে আনা প্রয়োজন তখনই সেই বোলারকে আনার চেষ্টা করি। অবশ্যই প্রথম ওভার বা দ্বিতীয় ওভার কিংবা তৃতীয় ওভার না, বিশেষ করে পাওয়ার প্লেতে কিভাবে ওই ওভারগুলো ম্যানেজ করবো এবং একই সময় কখন আমার বা দলের উইকেট দরকার, কখন কাকে ব্যবহার করলে ওই উইকেটের অপশনগুলো বের করা যায় সেগুলো তো অবশ্যই চিন্তা ভাবনা থাকে। কিন্তু চেষ্টা করি সবসময় কন্ডিশন বিবেচনায় যে জিনিসটা করা প্রয়োজন দলের জন্য সেটাই করার চেষ্টা করি।

প্রশ্ন: পাওয়ার প্লে’তে এমন পরিকল্পনার কারণে দল হিসেবে লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ, শেষ ৪ সিরিজের পরিসংখ্যান বলছে নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে সফর এবং ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১৬ ম্যাচে ২৭ উইকেট এসেছে। বিশ্বকাপেও কি পাওয়ার প্লেতে এই পরিকল্পনা বহাল থাকার সম্ভাবনা আছে? নাকি প্রতিপক্ষ ও উইকেট বিবেচনায় নতুন কিছু দেখা যাবে?

মাহমুদউল্লাহ: দেখুন, ওমান বা আবু ধাবিতে এবং দুবাইতে কন্ডিশন কেমন থাকবে সেটার উপর নির্ভর করবে আমাদের বোলিংয়ের সংমিশ্রণটা কেমন হবে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বোলিং ইউনিটের ওই ভারসাম্যটা আছে এবং আমাদের সব বোলারদের ওপর ওই আত্মবিশ্বাস আছে, যে কোনো বোলার যেকোনো সময় দলের জন্য সেরা সার্ভিসটা দিতে পারবে।

সূত্র, ক্রিকফ্রেঞ্জি