ব্যাটিং বিপর্যয়ে লজ্জার হার টাইগারদের

রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান জড়ো করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে। ২৯ বলের মোকাবেলায় গড়া অপরাজিত ইনিংসে ছিল ৩টি চার।

৬২ রানে ৫ উইকেটের পতনের পর নিকোলসের সাথে টম ব্লানডেল গড়েন ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ। ৩০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্লানডেল। এছাড়া শুরুর দিকে রাচিন রবীন্দ্রর ২০, উইল ইয়ংয়ের ২০ ও ফিন অ্যালেনের ১৫ রানের ইনিংস নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের ভিত গড়ে দেয়।

বাংলাদেশের পক্ষে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শিকার করেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার করেন শেখ মেহেদী হাসান, মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব আল হাসান ২৪ রান বিলি করলেও ছিলেন উইকেটশূন্য।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ওপেনার লিটন দাস সাজঘরে ফেরেন দলীয় ২৩ রানে, তৃতীয় ওভারে। মেহেদী ১, সাকিব ০ ও নাঈম শেখ ১৩ রান (১৯ বলের মোকাবেলায়) করে সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা। এরপর মুশফিকুর রহিম একপ্রান্ত ধরে রাখলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ০ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব ১ রান করে সাজঘরে ফিরলে মাত্র ৪৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯.৪ ওভারে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হলে বরণ করে নিতে হয় ৫৩ রানের বড় পরাজয়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। ৩৭ বলের মোকাবেলায় তিনি কোনো বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে এজাজ পেটেল মাত্র ১৬ রানের খরচায় শিকার করেন ৪টি উইকেট। ৩টি উইকেট শিকার করেন কোল ম্যাককঞ্চি।