শেখ হাসিনার সমমানের রাজনীতিক দক্ষিণ এশিয়ায় নেই: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের মাথাপিছু আয় আর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিই যার বড় প্রমাণ।

নতুন খবর হচ্ছে, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমমানের রাজনীতিক দক্ষিণ এশিয়ায় নেই। অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, সাহস, ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতা- সব মিলিয়ে তিনি এক অনন্য নেত্রী। সার্বিকভাবে তিনি বিশ্বনেত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন প্রতিমন্ত্রী। প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম ‘শেখ হাসিনা: নেতৃত্ব, মানবিকতা ও দূরদৃষ্টি’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রাশিদ আসকারী।

বক্তৃতা করেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, ফোরামের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী নাট্যজন পীযুষ বন্দোপধ্যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, চিকিৎসক ও কলামিস্ট অধ্যাপক মামুন আল মাহাতাব স্বপ্নীল প্রমুখ।

বক্তারা প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তার দীঘায়ু কামনা করেন। আশা প্রকাশ করেন, শেখ হাসিনা আরও দীর্ঘদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারবেন।

শামসুল আলম বলেন, ‘যতই উন্নয়ন হোক, সাফল্য ধরে রাখতে হলে সংগঠন অবশ্যই শক্তিশালী করতে হবে। দুর্নীতিকে অবশ্যই কমাতে হবে। কোনোভাবেই দলের প্রতি যেনো জনগণের সহানুভূতি না কমে।’

শেখ হাসিনার মানবিকতার উদাহরণ দিয়ে শহীদুল হক বলেন, তিনি পুলিশ মহাপরিদর্শক থাকাকালে মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত হয়ে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। সেই সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান, রোহিঙ্গাদের আসতে দেওয়া ঠিক হবে কি-না? রোহিঙ্গারা এত বিপুল সংখ্যায় এলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জবাবে বলেন, রোহিঙ্গাদের যেভাবে হত্যা, ধর্ষণ করা হচ্ছে, তারা যাবে কোথায়? অবশ্যই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হবে।

শহীদুল হক আরও বলেন, সেদিন প্রধানমন্ত্রীর মহানুভুবতায় তিনি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিশুদের দুরাবস্থা দেখে প্রধানমন্ত্রীর চোখে পানি চলে এসেছিল। তিনি কক্সবাজার ফিরে নির্দেশ দিয়েছিলেন রোহিঙ্গাদের মানবিক চাহিদা যেনো পূরণ করা হয়। রোহিঙ্গাদের ফেরানো সহজ হবে না যেনেও প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। বিশ্ব তাই তাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি দিয়েছে।