শেখ হাসিনা ছোটবেলা থেকেই সংগ্রামী ও সাহসী: আমু

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের মাথাপিছু আয় আর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিই যার বড় প্রমাণ।

নতুন খবর হচ্ছে, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনা ছোট বেলা থেকেই সংগ্রামী ও সাহসী ছিলেন। আমরা যখন ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করি তখন তিনি আজিমপুর গার্লস স্কুলের ছাত্রী। তিনি সেখানকার ছাত্রীদের নিয়ে মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা আন্দোলনের অন্যতম অগ্রসৈনিক ছিলেন। ৭৫’ পরবর্তী সময়ে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশে যখন একটি অরাজকতা পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনী ও যুদ্ধাপরাধীদেরকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব দিয়েছে, যখন কোনো আইনের শাসন ছিল না সেই দুর্বিসহ সময়ে ১৯৮১ সালের ১৭ই মে তিনি দেশে ফেরেন আলোর দিশারী হয়ে।

আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের এ সভাটি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যুবলীগই ছিল শেখ হাসিনার একমাত্র ভ্যানগার্ড এবং এই যুবলীগই সার্বক্ষণিক শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছে। প্রত্যেকটি আন্দোলন সফল করতে যুবলীগের ত্যাগ-তিতিক্ষা ছিল অপরিসীম।

তিনি আরও বলেন-আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু’র জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না, তেমনি শেখ হাসিনার জন্ম না হলে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের প্রত্যাশা বাংলার মানুষ করতে পারতো না। আমরা যদি শেখ হাসিনাকে না পেতাম তাহলে আমরা বাঙালিরা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা বাংলার মানুষের কাছে আসামির কাঠগড়ায় থাকতাম।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের এত অগাধ বিশ্বাস ও ভালোবাসা কেন কারণ মানুষের যে ৫টি মৌলিক চাহিদা রয়েছে, আজকে শেখ হাসিনা’র সরকার মানুষকে তা দিতে পেরেছে।