শেষ বলে অবিশ্বাস্য ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ টাই; শীর্ষে তামিমের দল

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে মুস্তাফিজ অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে স্বেচ্ছ্বায় সরে গেলেও নেপালে এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) খেলতে গেছেন তামিম ইকবাল। বৃষ্টির কারণে এমনিতেই দুই ম্যাচে ব্যাট করতে পারেননি, পরের দুটি ম্যাচে সুযোগ পেলেও ভালো হয়নি অভিজ্ঞতা। বিরাটনগর ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ১২ রানের ইনিংসের পর আজ (বৃহস্পতিবার) ললিতপুর প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে করেছেন ১৪ রান।

নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে তামিম ব্যর্থ হলেও তার দলের হার বাঁচিয়েছেন উপুল থারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটি শেষ হয় টাই-এ। নেপালের কীর্তিপুরে ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সানদুন ভিরাক্কোডি হাফসেঞ্চুরিতে ললিতপুর ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে।

জবাবে তামিমের ভাইরাহাওয়াও থারাঙ্গার ঝড়ো ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করে ১৭৭ রান। ফল নিষ্পত্তির জন্য সুপার ওভার হয়নি আলোর স্বল্পতার কারণে। তাই ম্যাচটি হয় টাই।

১৭৮ রানের কঠিন লক্ষ্যে জিততে ওপেনিংয়ে ভালো শুরুর প্রয়োজন ছিল ভাইরাহাওয়ার। কিন্তু তামিম ও প্রদীপ আইরি শুরুটা ভালো করতে পারেননি। তামিমকে নিয়ে প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক। যদিও বাংলাদেশি ওপেনার প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ।

আগের ম্যাচে ১২ রানে আউট হওয়ার পর আজ ১৪ রানে আউট হয়েছেন তামিম। ১৬ বলে ৩ চারে তামিম নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। তারপরও ভাইরাহাওয়াকে এতদূর নিয়ে আসার পেছনে বড় ভূমিকা থারাঙ্গার। এক পর্যায়ে ম্যাচ যখন টানটান উত্তেজনায় তখন শেষ বলে ৭ রান প্রয়োজন, ঠিক সে সময়েই ছক্কা হাকিয়ে টাই করেন থারাঙ্গা। ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।