সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়ে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা

এবার চোটের কারণে টি-২০ দল থেকে ছিটকে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে যেন কোনো প্রভাবই পড়েনি প্রোটিয়ান শিবিরে। নতুন অধিনায়ক তাবরাইজ শামসির নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচে ২৮ রানে জয়ের পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে লঙ্কানদের উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যার সুবাদে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। এর ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল।

এদিকে প্রথম ম্যাচে ২৮ রানে জয়ের পর, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে লঙ্কানদের উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যার সুবাদে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে তারা। এই জয়ে আরও এক অনন্য কীর্তি গড়েছে প্রোটিয়ানরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয় পেয়েছে তারা।
রোববার রাতে কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৩৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪৮ বলে ৫৮ রান করেন কুইন্টন ডি কক। এছাড়া এইডেন মারক্রাম ২১ ও রেজা হেন্ডরিকস করেন ১৮ রান। সিরিজের শেষ ম্যাচ মঙ্গলবার।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কয়েকদফায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের মাঝপথে ১৭ রানে ৩ উইকেট এবং শেষে গিয়ে মাত্র ৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। যার ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১০৪ রানের।

এদিকে করোনাভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত হয়ে এ ম্যাচে দলে ফিরেছেন শ্রীলঙ্কার মারকুটে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুশল পেরেরা। তার ব্যাট থেকেই এসেছে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস। পার্টটাইম স্পিনার এইডেন মারক্রামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে ২ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান পেরেরা।

এছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন আর মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যান। তবে তারা কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। তিন নম্বরে নামা ভানুকা রাজাপাকশে ১৩ বলে ২০, অধিনায়ক দাসুন শানাকা ৮ বলে ১০ ও স্বভাববিরুদ্ধ ইনিংসে ২০ বলে ১৪ রান করেছেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান চারিথ আসালাঙ্কা।

এদিকে লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে ঝড় বইয়ে দেয়ার কৃতিত্ব দুই স্পিনার এইডেন মারক্রাম ও তাবরাইজ শামসির। বিশ্বের এক নম্বর টি-টোয়েন্টি বোলার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে ২০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। চমক দিয়েছেন মারক্রাম, এক মেইডেনসহ ২১ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ লঙ্কান ব্যাটসম্যানকে।