সালমান বলেছিল, আমার জানটাকে দেখে রাইখেন: শাবনূর

সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে যে কয়জন অভিনেত্রী বিনোদন প্রেমীদের হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন তাঁর মধ্যে শাবনূর অন্যতম। এই পর্যন্ত ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করে তিনি আলোচনায় এসেছেন বহুবার। ফের খবরের শিরোনাম হলেন এই বিউটি কুইন।

নতুন খবর হচ্ছে, শাবনূর বলেন, একবার কক্সবাজারে শুটিং করছিলাম। শুটিং শেষ। পরিচালক ক্যামেরা ক্লোজ করেছেন। সবাই মিলে হইহুল্লোর করছি। তখন অনেক রাত। সালমানের মনে হলো বারবিকিউ করবে। ইউনিটের সবাইকে নিয়ে বারবিকিউ করতে চলে গেল সৈকতে। রাতে মশাল জ্বালিয়ে আমরা একসঙ্গে বারবিকিউ করলাম। স্মৃতিগুলো এখন জ্বলজ্বল করে মনের ভেতর।

সালমান তার স্ত্রীকে অনেক ভালোবাসত। একদিন আমার মাকে শুটিং সেটে বলেছিল, আন্টি, আমার এই জানটাকে দেখে রাইখেন। আম্মা বলেছিল, তুমি নিশ্চিন্তে কাজ করো, আমরা তোমার বউকে দেখে রাখব। সামিরা শুটিং সেটে সব সময় সালমানের পাশেই থাকত। সালমান আমাকে সব সময় ‘পিচ্চি’ বলো ডাকত। বলত, এই পিচ্চি এদিকে আয়। আমাকে বলত, আমার তো কোনো বোন নেই তুই আমার বোন। দেখা গেছে সামিরা তার ড্রেস ম্যাচিং করে দিচ্ছে আর সালমান আমার সঙ্গে কথা বলছে। এমনও হয়েছে আমার দু-একটা ড্রেস সামিরা ঠিক করে দিয়েছে। দেখা গেছে সামিরা আমার কানের দুল ম্যাচিং করে দিল। এভাবে আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছি। এ ধরনের মজার ঘটনা তখন অনেক ঘটেছে। একবার অনেকগুলো কানের দুল আমি বের করেছি। তখন সামিরা বলল, আমার কাছে দাও আমি বেছে বেছে ম্যাচিং করছি।

সালমান শাহ ভালো মনের মানুষ ছিল। বড় মনের মানুষ ছিল। ব্যক্তি হিসেবে খুবই ভালো ছিল। সেটে কোনো মুরুব্বি ঢুকলে আমি কখনই দেখিনি সে বসে থেকেছে। উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান করেছে এবং বসার জন্য চেয়ার এগিয়ে দিয়েছে। আরেকটি ব্যাপার, সে যত চঞ্চলই হোক, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে চেঞ্জ হয়ে যেত। আজ সালমান শাহের জন্মদিন। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।