৪ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়লেন মিঠুন

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে মিঠুন অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচে এইচপি দল লিড পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো জবাব দিচ্ছে ‘এ’ দল। সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর পর ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী ও মোহাম্মদ মিঠুন।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ‘এ’ দলের করা ২৩১ রানের জবাবে এইচপি দল জড়ো করে ২৩৭ রান। ৬ রানে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে তৃতীয় দিনের শুরুতেই ‘এ’ দল হারায় সাইফ হাসানকে। ৩৩ বলের মোকাবেলায় ৩টি চারের সহায়তায় ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর দলের হাল ধরেন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনই দারুণ খেলছিলেন। তবে দলীয় ১০৫ রানে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সাজঘরে ফিরতে হয় শান্তকে। ৭৭ বলে ৪৭ রান করা শান্ত ৬টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে দিচ্ছিলেন আরেকটি বড় ইনিংসের আভাস।

তবে অর্ধশতক থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে। শান্ত অবশ্য সাজঘরে ফেরার আগে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তানভীর ইসলামের বলে আম্পায়ার এলবিডব্লিউর সংকেত দিলে বল ব্যাটে লেগেছে দাবি করে শান্ত কিছুক্ষণ মাঠে দাঁড়িয়ে থাকেন। মাঠ ছাড়ার আগে ব্যাট দিয়ে মাঠে আঘাত করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

শান্তর মত অল্পের জন্য অর্ধশতক হাতছাড়ার আক্ষেপে পুড়েছেন সাদমানও। ১২৬ বলে ৩টি চারের সহায়তায় ৪৯ রান করেন তিনি। এরপর দল হারিয়েছে মুমিনুল হককেও। প্রথম ইনিংসে ৬২ রান করা অধিনায়ক এই ইনিংসে মাত্র ৩০ রানে থামেন। নতুন ব্যাটসম্যান ইয়াসিরের সাথে তখন হাল ধরেন মিঠুন।

ইয়াসির ওয়ানডে মেজাজে রান তুলতে থাকলেও কোনো তাড়াহুড়া করেননি মিঠুন। ১১৮ বলের মোকাবেলায় ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন তিনি, ব্যাট থেকে এসেছে ৬টি চার। দিনের খেলা শেষ করার সময় অর্ধশতক হাঁকানো ইয়াসির অপরাজিত থাকেন ৬৫ রানে। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকানো ইয়াসির মোকাবেলা করেছেন ৭৪ বল।