‘ক্রিকেট ইজ অ্যা জেন্টলম্যান’স গেইম’ বলে একটি কথা আছে। কিন্তু কোথাও লেখা দেখিনি বা শুনিনি যে ‘ক্রিকেট ইজ এ ফানি গেইম’। তবে অনেকেই মনে করে ক্রিকেট একটি মজার খেলা। আসলে মনে করাটাই স্বাভাবিক, কেননা ডব্লিউ জি গ্রেসের মতে এই আধুনিক ক্রিকেটটা আসলেই কয়েক’শ কোটি মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে।
নতুন খবর হচ্ছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ওমান একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৬০ রানে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ একাদশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে ওমান একাদশ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে দুই ওপেনার ব্যাটার নাইম শেখ এবং অধিনায়ক লিটন দাস। ওপেনিং জুটিতে এই দুইজন যোগ করেন ১০২ রান। ৩৩ বলে ছয়টি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ৫৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন দাস।
এরপরে কিছুটা ছন্দ পতন হয় বাংলাদেশের। ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকার এবং শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আফিফ হোসেন। এরপর ৫৩ বলে ২টি চার এবং দুটি ছক্কার ৬৩ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান নাঈম শেখ।
তবে ব্যাটিংয়ে নেমে এলোপাতাড়িভাবে খেলতে থাকেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। তার সাথে যোগ দেন শামীম পাটোয়ারী। ১৫ বলে ৭টি ছক্কা সাহায্যে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। অন্য প্রান্তে ১০ বলে একটি চার এবং দুটি ছক্কার সাহায্যে হাজার ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শামীম পাটোয়ারী।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওমান একাদশ। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ। এরপর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদী হাসান। ওমান একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন শোয়াইব খান। এছাড়াও মেহরান খান ১৯ এবং শেষের দিকে রফিউল্লাহ করেন ৩১ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট লাভ করেন শরিফুল ইসলাম। দুইটি উইকেট লাভ করেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এছাড়াও একটি করে উইকেট লাভ করেছেন নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, আফিফ হোসেন।