নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইসমাইল

এবার এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন দেশের দ্রুততম মানব ইসমাইল হোসেন। টোকিও অলিম্পিকে ক্রীড়াবিদ বাছাই নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিষিদ্ধ হন তিনি। বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২ অক্টোবর থেকে আগামী এক বছরের জন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব রকমের প্রতিযোগিতায় তার এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

এদিকে অ্যাথলেটিকস ডিসিপ্লিন থেকে টোকিও অলিম্পিকের জন্য জহির রায়হান, শিরিন আকতার ও ইসমাইল হোসেনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়েছিলো। শেষপর্যন্ত জহির রায়হানকে পাঠানো হয় অলিম্পিকে। এ বিষয়ে কয়েকদিন আগে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ইসমাইল।

তখন তিনি বলেছিলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে অলিম্পিকের বাছাই হয়নি। আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’ এ কারণেই মূলত তাকে নিষিদ্ধ করেছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। জাগো নিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু।

তিনি বলেছেন, ‘অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের নানা সময়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিডিয়াতে প্রকাশ্যে বিষেদাগার করা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে ইসমাইলকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়েছিলো। সেই কমিটি তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠিয়েছিলো এবং সে এর জবাবও দিয়েছিলো।’

তাহলে কেনো নিষিদ্ধ করা হলো ইসমাইলকে? উত্তর দিয়েছেন অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, ‘ইসমাইলের কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। তাই তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা কার্যকর হবে ২ অক্টোবর ২০২১ থেকে ১ অক্টোবর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত।’