পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে চট্টগ্রামে লাখো মানুষের ঢল

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) ইসলাম ধর্মের একজন ধর্ম প্রচারক এবং ইসলাম বিশ্ব জাহানের শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল । ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী তিনি আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবি ও রাসুল এবং তাঁর উপরই কুরআন প্রেরিত হয়েছিল। । মুসলিমরা বিশ্বাস করে দাউদ (আঃ), মুসা (আঃ), ইসা (আঃ) সহ অন্যান্য নবি-রাসুলের পর মুহাম্মদ (সা) সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তাঁর আদর্শের ভিত্তিতেই ইসলামিক সভ্যতা গড়ে ওঠে।

নতুন খবর হচ্ছে, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় নগরীর মুরাদপুর আলমগীর খানকা শরীফ থেকে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস শুরু হয়।

আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ মাদ্দাজিতুহল আলীর নেতৃত্বে এতে নানা শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মানুষ শরিক হন। জুলুসটি নগরীর বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোল শহর, দুই নম্বর গেট হয়ে আবার মুরাদপুর হয়ে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে শেষ হয়। এরপর মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা মাঠে।

আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহর সভাপতিত্বে আয়োজিত মাহফিলে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুনিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মুহাম্মদ সামশুদিন, পিএইচপি ফ্যামেলীর চেয়ারম্যান সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি হিযব রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ১২ রবিউল আউয়াল পৃথিবীর বুকে আল্লাহর রহমত হিসেবে আবির্ভূত হন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আদর্শের শিক্ষাদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে সুন্দরতম আদর্শের মাধ্যমে পৃথিবীতে শান্তি-সৌহার্দ্য সাম্য-মানবতা প্রতিষ্ঠা করেন।