চলতি বছরের গত আগস্টের শুরুর দিকে বার্সেলোনার সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন লিওনেল মেসি। যদিও একাধিক ক্লাব থেকে অফার পেয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর। তবে কেন পিএসজিকেই বেছে নিলেন তিনি? মেসি বলছেন, এখানে অকৃত্রিম দুই বন্ধু নেইমার ও ডি মারিয়া থাকায় ক্লাব বেছে নিতে সুবিধা হয়েছে তার।
এদিকে ফরাসি সংবাদ মাধ্যম ফ্রান্স ফুটবলকে লিও বলেন, ‘ক্লাবের আকাঙ্খা, প্লেয়ার, দল সবকিছু মিলিয়ে পিএসজিই আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল। এসব কারণেই সহজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। এখানে আমার দুই বন্ধু নেইমার ও মারিয়া আছে। ড্রেসিংরুমে ওদের সঙ্গে ভালো আড্ডা জমবে বিধায় এখানে আসা।’
মেসি বলেন, ‘আমি অন্য ক্লাব থেকেও অফার পেয়েছিলাম। কিন্তু পিএসজির অফারে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়েছি। কাজটা সহজ ছিল না যদিও। কারণ এটা এক রাতের মধ্যে হয়েছে।’
মেসি যখন ক্লাব ছাড়বেন বলেছিলেন তখন একাধিক ক্লাব তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল। ম্যানচেস্টার সিটি, ইন্টার মিলানসহ মেসির দিকে হাত বাড়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। ইংলিশ গণমাধ্যম দ্য সান মেসির দল বদলের গুঞ্জনের সময় লিখেছিল, আর্জেন্টাইন তারকাকে পাওয়ার জন্য ম্যানইউ সপ্তাহে ৬ লাখ ৭২ হাজার ইউরোর প্রস্তাব দিতে পারে।
সেই গুঞ্জনের আগে রেড ডেভিলরা দলে নেয় জ্যাডন সাঞ্চোকে। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রাফায়েল ভারানকেও উড়িয়ে নেয় ইংলিশ জায়ান্টরা। তাই তাদের মেসিকে চাওয়ার বিষয়েও খুব অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। বরং মেসিকে পেয়ে গেলে সুন্দর একট টিম কম্বিনেশনও হতে পারত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের।
প্রায় সব গুঞ্জনকে মিথ্যা প্রমাণিত করে ১০ আগস্ট পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করেন মেসি। মেসির বার্সেলোনা অধ্যায় শেষ, কঠিন এই বাস্তবতাকে একরকম মেনে নেয় সবাই। প্যারিসে এসে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেসি। দলটিকে সেরার কাতারে নিয়ে গিয়ে সমর্থকদের প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে চান তিনি।
এ সময় মেসি বলেন, ‘আমি প্যারিসে আমার জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনার অপেক্ষায় আছি। ক্লাব এবং আমার লক্ষ্য একই সুতায় গাঁথা। পার্ক দ্য প্রিন্সেসে নামার অপেক্ষা আর সহ্য হচ্ছে না। আমি জানি এখানে অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার এবং স্টাফ রয়েছেন। আমি এমন কিছু করার ব্যাপারে প্রত্যয়ী, যা ক্লাবটিকে সেরার কাতারে নিয়ে যাবে এবং ফ্যানদের প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে চাই।’