বিশ্বকাপে কমপক্ষে ৩৪ লাখ টাকা পাবে বাংলাদেশ

‘ক্রিকেট ইজ অ্যা জেন্টলম্যান’স গেইম’ বলে একটি কথা আছে। কিন্তু কোথাও লেখা দেখিনি বা শুনিনি যে ‘ক্রিকেট ইজ এ ফানি গেইম’। তবে অনেকেই মনে করে ক্রিকেট একটি মজার খেলা। আসলে মনে করাটাই স্বাভাবিক, কেননা ডব্লিউ জি গ্রেসের মতে এই আধুনিক ক্রিকেটটা আসলেই কয়েক’শ কোটি মানুষের বিনোদনের খোরাক যোগাচ্ছে।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকায় সুপার টুয়েলভ নয়, রাউন্ড ওয়ান দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করছে বাংলাদেশ। টানা তিনটি সিরিজ জিতে এবার আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে বিশ্বমঞ্চে মাহমুদউল্লাহরা। ইতিহাস তাদের পক্ষে না থাকলেও বহুদূরেই চোখ তাদের। কতটা সাফল্য তারা পাবে, সেটা সময়ই বলে দিবে। কিন্তু আর্থিক পুরস্কার তারা পাচ্ছে শুরু থেকে। রোববার (১০ অক্টোবর) আইসিসি ৫৬ লাখ ডলারের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের জন্য।

১৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত হতে যাওয়া প্রতিযোগিতায় ১৬টি দল অংশ নিতে যাচ্ছে। প্রথম পর্বে অংশ নিতে যাওয়া আট দল বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাপুয়া নিউ গিনি, স্কটল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এখান থেকে চার দল যুক্ত হবে আগে থেকেই সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করা আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে।

রাউন্ড ওয়ানেও বিজয়ী দলের জন্য রাখা হয়েছে আর্থিক পুরস্কার। এই পর্বে হবে ১২ ম্যাচ। বাংলাদেশ খেলবে স্কটল্যান্ড ও পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে। জিতলে প্রতি ম্যাচের জন্য তারা ৪০ হাজার ডলার করে বোনাস পাবে। মানে প্রত্যেক জয়ের জন্য এই পর্বে এই আর্থিক পুরস্কার পাবে দলগুলো। রাউন্ড ওয়ানেই পথচলা শেষ হয়ে গেলেও ৪০ হাজার ডলার পাবে বাংলাদেশ। এই পর্বে প্রাইজমানি মোট ১ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

সুপার টুয়েলভে উঠে গেলে বাংলাদেশের কমপক্ষে ৭০ হাজার ডলার নিশ্চিত। ম্যাচ জিতলে থাকছে বোনাসও, একটি করে জয়ের জন্য ৪০ হাজার ডলার করে পুরস্কার পাবে তারা। এই পর্বে ছিটকে যাওয়া ৮ দলের প্রত্যেকে পাবে ৭০ হাজার ডলার করে।