মাদরাসার ৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষক

শিক্ষা অনুযায়ী, মানবচরিত্র গঠন ও কর্মের সমন্বয় সাধনই হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর তাগিদ। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহর পরে, রাসূলের পরে ওই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা মহানুভব যে জ্ঞান অর্জন করে ও পরে তা প্রচার করে’ (মিশকাত শরিফ)।

নতুন খবর হচ্ছে, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হামছাদী কাজির দিঘীর পাড় আলিম মাদরাসার দশম শ্রেণীর ছয় ছাত্রের চুল কেটে দিলেন সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির। গত বুধবার ক্লাস চলাকালীন সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে তারা ক্লাস না করেই মাদরাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এতে ছাত্র ও অভিভাকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ঘটনার একটি ভিডিও শুক্রবার সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

মাদরাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল আলম ও ফজলে রাব্বীসহ কয়েকজন জানায়, গত বুধবার তাদের ইংরেজি ক্লাস চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে সিনিয়র শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির স্যার কাঁচি (কেঁচি) দিয়ে আমাদের ৬ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর ছাত্ররা ক্লাস না করে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদরাসাটির অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ছাত্ররা তাদের ক্লাস শেষ করে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্র জানায়, ইংরেজি ক্লশের প্রথম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে মঞ্জুরুল স্যার আমাদের (ক) শাখার ক্লাশে ঢুকে ৬ ছাত্রের চুল কেটে দেয়। কিন্তু (খ) শাখার কোন ছাত্রের চুল উনি কাটেনি।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) অভিযোগ ওঠা মাদরাসার শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সকল ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদরাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে কয়েক ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছি। আমি ওদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকা ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে কোন হুমকির কথা বলিনি।