অবশেষে বিনা খরচে ইতালির দলে ঠাঁই হলো আর্জেন্টিনার রোমেরোর

গত ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে দুর্বল জায়গা ভাবা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তিনিই শেষ পর্যন্ত পরিণত হয়েছিলেন আর্জেন্টিনা দলের সবচেয়ে বড় শক্তিতে। প্রায় ২৪ বছর পর আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। লিওনেল মেসির চেয়ে তাঁর অবদান কোনো অংশে কম ছিল না। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইব্রেকারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আকাশী-নীল দলের নায়ক থেকে মহানায়কে বনে গিয়েছিলেন সার্জিও রোমেরো।

এদিকে বিশ্বকাপের অনবদ্য পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরপ নজরে পড়েন ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। সেই ২০১৫ সালে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬১টি ম্যাচ খেলেছেন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে একটি করে এফএ কাপ, ইংলিশ লিগ কাপ, ইংলিশ সুপার কাপ ও ইউরোপা লিগ জয়ের স্বাদ পান পেয়েছিলেন তিনি। বছর চারেক আগে থেকেই তাঁর পারফরম্যান্স নিম্নমুখী হতে থাকে। একসময় জায়গা হারান জাতীয় দলে, ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের পর ক্লাবেও হতে থাকে উপেক্ষিত। গেল মৌসুমেই অভিমানে ইউনাইটেড ছেড়ে বের হয়ে আসেন।

তবে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়ার পর সময়টা খুব ভালো কাটেনি রোমেরো। একপ্রকার বেকারই ছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক।
এতদিন বেকার থাকার পর অবশেষে পেলেন ঠিকানা। ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ইতালিয়ান সিরি’ আর ক্লাব ভেনেৎসিয়ায় যোগ দিলেন ৩৪ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক।

গতকাল (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে সার্জিও রোমেরোকে দলে ভেড়ানো বিষয়টি জানিয়েছে নবাগত ক্লাবটি। বিবৃতিতে ক্লাবটি জানায়, “অত্যন্ত আনন্দের সহিত ভেনেৎসিয়া এফসি আর্জেন্টাইন ৩৪ বছর বয়সী গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দলে ভেড়ানোর খবরটি নিশ্চিত করছে। রোমেরো আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা গোলরক্ষক এবং তিনি সর্বশেষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছেন।”

এদিকে আর্জেন্টিনার ইতিহাসে গোলরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ ৯৬টি ম্যাচ খেলা খেলেছেন সার্জিও রোমেরো। জাতীয় দলে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৮ সালে, ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে।