আমি তো আর ২৪ রকমের স্লোয়ার জানি না: স্টার্ক

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে স্টার্ক অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্লো এবং টার্নিং উইকেটে বাড়তি সুবিধা পাবেন স্পিনাররা। পেসারদের জন্য সেখানকার কন্ডিশন অনুকূলে না থাকলেও বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রাখতে পারলে সফল হতে পারেন তারা। সেক্ষেত্রে স্লোয়ার কিংবা কাটার হতে পারে পেসারদের অন্যতম অস্ত্র। তবে এমন কন্ডিশনেও নিজের চেনাচরিত গতিময় বোলিং করবেন বলে জানিয়েছেন মিচেল স্টার্ক।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ১৪০-৪৫ কিমি গতিবেগে কিংবা তারও বেশি গতিতে বোলিং করে আসছেন স্টার্ক। বাইশ গজের লড়াইয়ে গতির ঝড় তুলে বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারদের নাকানিচুবানি খাইয়েছেন তিনি। তাছাড়া বর্তমান সময়ে গতিময় বোলিং করেন এমন পেসারদের মধ্যেও অন্যতম তিনি।

এদিকে ওমান ও আরব আমিরাতের কন্ডিশনে স্লোয়ার ও কাটার করতে পারা বোলাররা সফল হবেন বলে ধারণা করছেন অনেকে। এসব গুণাগুণ থাকায় তাই মুস্তাফিজুর রহমান ও ডোয়াইন ব্রাভোর মতো বোলারদের এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তবে গতিময় বোলিং করে উইকেট তুলে নেওয়াই মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন স্টার্ক।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে আমি সবসময় নিজের চেনাচরিত সোজাসাপ্টা নিয়মগুলো অনুসরণ চেষ্টা করি। আমি আসলে এমন কেউ নই যে ২৪টি বল ধীর গতিতে কিংবা অন্য ধাচে করার চেষ্টা করব বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। আমি ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই গতিময় বোলিং করে আসছি এবং স্পষ্টতই ডেথ ওভারে বোলিংয়ের দিকে মনোনিবেশ করেছি। তাই আমি মনে করি এটি আমার জন্য চাবিকাঠি। অনেক কিছু চেষ্টা করার পরিবর্তে গুটি কয়েক নিয়মে মনোনিবেশ করা বেশি ভালো।’

খেলার মাঠে প্রত্যেক বোলারের নিজস্ব ধাচে বোলিং করে থাকেন। কেউ পাওয়ার প্লে কেউ আবার ডেথ ওভারে বেশি কার্যকরী। পাওয়ার প্লে ও ডেথ ওভারে দুই জায়গাতেই দারুণ সফল স্টার্ক। তাই গতিময় বোলিংয়ে উইকেট তুলে নিয়ে নিজের ওপর আরোপিত দায়িত্ব ভালোভাবে করতে চান তিনি।