একই জায়গায় শায়িত হলেন গুরু-শিষ্য

মৃত্যু” এক নির্মম, কঠিন বাস্তবতার নাম। মৃত্যু এমন এক মেহমান, যে দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই! মৃত্যু যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষের সামনে, যেকোন সময়ে উপস্থিত হতে পারে!

অভিনেতা ও নির্মাতা কায়েস চৌধুরীকে গুরু মানতেন শামীম ভিস্তি। গুরু বলেই সম্বোধন করতেন সবসময়। প্রিয় গুরুর মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন গত রাতে।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুজনকেই মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন নাট্য পরিচালক অরণ্য আনোয়ার।

দুজনের সঙ্গেই অনেকগুলো কাজ করেছেন অরণ্য আনোয়ার। দুজনের গুরু-শিষ্য সম্পর্কের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুজনের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক ছিল। কায়েস চৌধুরীকে গুরু মানতেন শামীম ভিস্তি।’

তাদের গুরু-শিষ্য সম্পর্কের কথা জানতেন মিডিয়ার অন্য সবাইও।

অভিনেতা রওনক হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কায়েস ভাইকে শামীম ভাই এতোই ভালোবাসতেন যে, তার চলে যাওয়ার সংবাদ শুনে নিজেই স্ট্রোক করেন এবং অনন্ত যাত্রায় সামিল হয়েছেন। গুরু-শিষ্য দুজনেই এখন শান্তিতে থাকুন।’

অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব নাসিম বলেন, ‘কায়েস চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন শামীম ভিস্তি। কয়েকবার বমিও করেন। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।’

শামীম ভিস্তির বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। নাট্যদল নাট্যচক্রর সদস্য ছিলেন তিনি। এই দলের জনপ্রিয় নাটক ‘ভদ্দরনোকে’ নিয়মিত অভিনয় করতেন। এ ছাড়া, টেলিভিশন নাটক ও সিনেমায়ও অভিনয় করতেন। সবশেষ বিটিভির ‘জিন্দাবাহার’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন।