একটি ছক্কা হাঁকাতে আসিফের লাগে ৩ বল, লিটনের লাগে ১০৪ বল!

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে লিটন অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে মাত্র ৬১১ বল খেলেছেন আসিফ আলী। এর মধ্যে ৪৭ বার ছক্কা হাঁকিয়েছেন এ পাকিস্তানি ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪৫ ইনিংসে ব্যাট করা আসিফের ৪-এর চেয়ে ছক্কা বেশি।

শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২ বলে ২৪ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। আফগান পেসার করিম জানাতের ৬ বলের মধ্যে ৪ ছক্কায় সব হিসাব মিটিয়ে দেন আসিফ। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান ১০ উইকেটে জিতেছিল। এ কারণে সে ম্যাচে আর নামা হয়নি আসিফের। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা জটিল করে তুলেছিলেন পাকিস্তানের টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। কিন্তু আসিফ নেমেই ম্যাচটা পাকিস্তানের মুঠোয় এনে দেন।

সেদিন দলের ১৩৫ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১২ বলে ২৭ রান করেন আসিফ। ৩টি ছক্কার সঙ্গে হাঁকান একটি চারও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৭ বল খেলে ৪টি ছক্কা হাঁকান আসিফ আলী। চলতি বিশ্বকাপে মাত্র ১৯ বল খেলেই ৭ ছক্কা আসিফের। মানে একেকটি ছক্কা মারতে ৩ বলও লাগছে না তার। আসরে কমপক্ষে তিনটি ছক্কা হাঁকানো ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইসের ৭ ছক্কা এসেছে ৪৯ বলে। আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজের প্রতি ছক্কার জন্য ৯ বলের কম লাগছে। ৪৪ বল খেলে ৫ ছক্কা গুরবাজের। চলতি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আট ছক্কা নামিবিয়ার ডেভিড ভিসার।

এদিকে বিশ্বকাপে ১০৪ বল খেলে মাত্র একটি ছক্কা মেরেছেন লিটন কুমার দাস। কমপক্ষে ১০০ বল খেলেও লিটনের চেয়ে বাজে ছক্কা মারার রেকর্ড বিশ্বকাপে একজনেরই। তিন ম্যাচ খেলেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়া নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্সওয়েল ও’ডাউড ১০৬ বলে ছক্কা মেরেছেন একটি।