একসঙ্গে বেড়ে ওঠা দুই বন্ধুর, একসঙ্গেই মৃত্যু

মৃত্যু” এক নির্মম, কঠিন বাস্তবতার নাম। মৃত্যু এমন এক মেহমান, যে দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই! মৃত্যু যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষের সামনে, যেকোন সময়ে উপস্থিত হতে পারে!

নতুন খবর হচ্ছে, ছোটবেলা থেকে দুই বন্ধু একসঙ্গে বড় হয়েছেন। একই স্কুলে পড়ালেখা করেছেন। নাটোর শহরের দুটি দোকানে তারা কাজ করতেন। কাজ শেষে প্রায়ই একসঙ্গে ঘুরতেন। সোমবার রাতে মোটরসাইকেলে ঘোরাফেরার সময় পিকআপের ধাক্কায় দুজনই নিহত হয়েছেন।

তারা হলেন- নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া বটতলা মোড়ের তারেক হোসেন ও রাকিব হোসেন তারেক শহরের কানাইখালি এলাকার একটি মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপের কর্মচারী ও রাকিব শহরের সততা বস্ত্রালয়ের কর্মচারী ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে একসঙ্গে জানাজা শেষে দুই বন্ধুকে একই কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।

নাটোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সুমন হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা শহরের তেবাড়িয়া রাজপুর মোড়ে যান। নাটোর বাইপাস সড়কের ওই মোড়ে পিকআপের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল। পাশে পড়ে ছিল তারেকের লাশ। গুরুতর আহত রাতেই রাকিব চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে মারা যান।

তারেক-রাকিবের ঘনিষ্ঠজন আবদুল গণি বলেন, তারা ছিলেন মানিকজোড়। কাজ শেষে সবসময় তাদের একসঙ্গে দেখা যেত। একজন মোটরসাইকেল চালাতেন, অন্যজন পেছনে বসে থাকতেন। একসঙ্গে ঘুরতেন বলে দুজনকে শহরের অনেকেই চিনতেন।