এখনও অনেক কিছু পাওয়ার আছেঃ মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে সোহান অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, সুপার টুয়েলভে টানা তিন ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেছে বাংলাদেশ দল। জটিল হিসেব নিকেশ সঙ্গী থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচ বলা যেতে পারে আনুষ্ঠানিকতার। অথচ শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ জিততে পারলে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথটা অনেকটাই সহজ হয়ে যেত! কিন্তু ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ব্যর্থতায় সেটি হয়নি। তারপরও বাকি দুটি ম্যাচ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আছে বলে মনে করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

শুক্রবার ক্যারিবীয়দের কাছে ম্যাচ হেরে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ সেই কথাই জানিয়ে গেলেন, ‘এখনো অনেক পাওয়ার আছে। আমার মনে হয় আপনি যেটা বললেন সেমিফাইনালের আশাটা হয়ত ক্ষীণ হয়ে গেছে। কিন্তু দুটা ম্যাচ আছে, আমরা যদি জিততে পারি, দলের জন্য ভালো একটা কিছু হবে। ভুল হচ্ছে, তারপরও আমরা শেষ দুটি ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবো।’

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে শেষ বলে চার রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ব্যাট আর বলের সংযোগই করতে পারেননি। এত অল্প রানে হার কতটা যন্ত্রণাদায়ক- এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘উইকেট কিছুটা কঠিন ছিল। যখন আমরা বোলিং শুরু করেছিলাম, যখন ব্যাক অব লেংথে বোলিং করা হচ্ছিল, উইকেটে ওইভাবে খুব একটা বল আসছিল না। বাউন্স কিছুটা লো ছিল আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। তো আমরা ওভাবেই বোলিং করছিলাম। আমাদের বোলাররা ভালোই বোলিং করেছিল কিন্তু যে দুটা সুযোগ এসেছিল, সেগুলো যদি নিতে পারতাম সম্ভবত ১০টা রান কম হত এবং আমাদের জন্য চেজটা কম হত। চেষ্টা করেছি, টি টোয়েন্টি খেলায় এমন মার্জিন হয়। কিন্তু জিততে পারিনি।’

শেষ বলের আগে নিজের ভাবনা নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ওই সময়টাতে আমরা ঠিকমতই ব্যাটিং করছিলাম। আমার ও লিটনের জুটি ভালোই হচ্ছিল। রাসেলের ওই ওভারের আগে ব্রাভোর ওই ওভারে যদি ছয়টা হয়ে যেত, তাহলে আমরা অনেক এগিয়ে যেতাম। আমার মনে হয় এটা একটা বড় টার্নিং পয়েন্ট ছিল ওই ম্যাচের।’