এখন বিদ্যুৎ কখন যায় বুঝতেই পারেন না : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মানুষের মাথাপিছু আয় আর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিই যার বড় প্রমাণ।

নতুন খবর হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলেন তারা জয় বাংলা শ্লোগান নিষিদ্ধ করলেন। যুদ্ধের যে হুঙ্কার, যে রণধ্বনি, যে ধ্বণিতে আমরা পাকিস্থানিদের পরাজিত করেছিলাম, খুনি জিয়া, খুনি মোস্তাক চক্র স্বাধীন বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্থান বানানোর জন্য পাকিস্থানি কায়দায় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ চালু করলেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারী শহরের মশিউর রহমান কলেজ মাঠে সদর উপজেলা এবং সৈয়দপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করে আমরা যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বন্ধ করেছিলাম, জিয়াউর রহমান ক্ষতায় এসে বললেন ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র চলবে। আবার সেই ধর্মীয় রাজনীতি শুরু করলেন। গোলাম আযমকে এনে নাগরিকত্ব ফেরত দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারী মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে সিনিয়র মন্ত্রী বানালেন।

দেশ স্বাধীনের আজ ৫০ বছর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ৫০ বছরের ৩০ বছর যাদু মিয়ারা যাদুর খেল দেখিয়েছেন। বিএনপির নেতা জিয়াউর রহমান আগাইরা বাগাইরা টাউট বাটপার মিলিটারি নিয়ে ছিলেন ১০ বছর। খেলাদা জিয়া ছিলেন ১০ বছর। এরশাদ ছিলেন ১০ বছর। আমরা বঙ্গবন্ধুর আমলে সাড়ে তিন বছর, শেখ হাসিনার আমলে আগে ৫ বছর, এখন সাড়ে ১২ বছর, অর্থাৎ সবমিলে ২১ বছরের মতো ক্ষমতায় বঙ্গবন্ধু এবং তার রক্তের উত্তরাধিকারী, আর ৩০ বছর ওরা। আমরা একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী পালন করছি, একইসাথে স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা পালন করছি। এই যে উন্নয় দেখেন এই উন্নয়ন কত বছরের হিসাবটা বুঝতে হবে।

সেই ৩০ বছরে উত্তরবঙ্গে এবং নীলফামারীতে কী কী উন্নয়ন হয়েছে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, রেল-টেল যা ছিল সেটাও বন্ধ করে দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের ২১ বছরে কী কী হয়েছে হিসাব মিলান। একসময় শুনতাম বিদ্যুৎ কখন আসবে, এখন যায় কখন সেটা বুঝতে পানি না। এখানে ইপিজেড হয়েছে। মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। স্কুল কলেজ, রাস্তা-ঘাট, বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ, প্রাইমারি স্কুলের ৪ তলা বিল্ডিং হয়েছে, মানুষের আয় বেড়েছে।