কাল থেকে শতভাগ মুসল্লিতে মুখরিত হবে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ

পবিত্র মসজিদুল হারাম মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্বাচিত একটি স্থান। নানান গুরুত্বপূর্ণ ও মহিমান্বিত নিদর্শন দিয়ে বিস্তৃত আল্লাহর এ ঘর। এই পবিত্র স্থানের আলোচনা করতে গেলে মুমিনের হৃদয়ের মানসপটে ভেসে ওঠে সুমহান মর্যাদার কালো গিলাফে আবৃত ও অনিন্দ্যসুন্দর ঘরের দৃশ্য।

সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরাসহ করোনা বিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। তাছাড়া মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে আগের মতো মুসল্লিদের দিয়ে পুরোপুরি ধারণের অনুমোদন দিয়েছে সৌদি সরকার। শুক্রবার (১৫ অক্টেবার) সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশক্রমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

সৌদি গেজেটের খবরে জানা যায়, আগামীকাল রবিবার (১৭ অক্টোবর) থেকে করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করা মুসল্লিরা স্বাভাবিক পরিস্থিতির মতো মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে আসতে পারবেন। তবে মুসল্লিদের ইমিউনিটি পরিস্থিতি নিশ্চিত করে ‘তাওক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। তাছাড়া মসজিদের ভেতর মুসল্লি ও কর্মীদের মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা আগের মতো থাকছে।

খবরে জানা যায়, বাইরে যেতে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আবশ্যিকতা তুলে নেওয়া হয়। এছাড়াও বিবাহের হল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন কেন্দ্র ও সিনেমা হলে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের মাধ্যমে পূর্ণ ধারণ ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।

খবরে আরো জানা যায়, ​সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান ও টিকার ডোজ পরিপূর্ণ করার শর্ত আগের মতো বহাল থাকবে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে ইমিউনিটি পরিস্থিতি নিশ্চিত করে প্রবেশ করা যাবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিস্থিতির অগ্রগতি হওয়ায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।