কুমিল্লাকান্ডে জকিগঞ্জে পুলিশ-জনতা ব্যাপক সংঘর্ষ, ইউএনও-এএসপির গাড়ি ভাঙচুর

গতকাল রাতে সিলেটের জকিগঞ্জে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাংচুর করা হয়েছে ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিজস্ব গাড়ি। এ ঘটনাটি বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালীগঞ্জ বাজারে ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়েছে।

এদিকে সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মস্তফা উদ্দিন ও পুলিশ-জনতাসহ ৩৫-৪০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে মাইকিং করে এশার নামাজের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ব্যানারে মিছিল বের করে প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ। মিছিল শুরু করেই দায়িত্বরত পুলিশের ওপর চড়াও হয় মিছিলকারীরা। এরপর মিছিলটি মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গিয়ে ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিজস্ব গাড়ি রাখা দেখতে পেয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।

এদিকে হামলার সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, ওসি আবুল কাসেম ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে অবস্থান করায় হামলাকারীদের কবল থেকে রক্ষা পান। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে উগ্রগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে দেব না। এ ঘটনা যারা ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন কাজ করছে।