চাঁদে জমি বিক্রি করে বেড়াচ্ছে এই লোকটিই

ভালোবেসে স্ত্রীকে এবার চাঁদে জমি কিনে দিলেন স্বামী এম ডি অসীম। তিনি খুলনা মহানগরীর মডার্ন ফার্নিচার মোড় এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি একটি টেলিভিশনের খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি।

নতুন খবর হচ্ছে, সম্প্রতি চাঁদে জমি কেনার বিষয়টি বেশ আলোচিত হচ্ছে। অনেকে বিষয়টিকে মজা হিসেবেই দেখছেন। কেউ কেউ ভাবছেন এটি চাপাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। তবে এরই মধ্যে বিশ্বের নানা দেশের মানুষ চাঁদে জমি কিনেছেন। চাঁদের মানচিত্রে নিজের নামে বরাদ্দ জায়গাটুকু দলিলসহ বুঝে নিয়েছেন।

চাঁদের জমি বিক্রি করেন মার্কিন নাগরিক ডেনিস হোপ। চাঁদে জমি কেনার জন্য তার ‘লুনার অ্যাম্বাসি’ বেশ জনপ্রিয়। প্রতি একর জমির দাম শুরু ২৫ ডলার থেকে। শেষ ৫০০ ডলারে। বেশি দামেরও জমি আছে। এক একটি মহাদেশের সমান সেই জমির দাম প্রায় ১৪ কোটি ডলারের কাছাকাছি। তবে জমি যেমনই হোক, সব জায়গা থেকেই পৃথিবীকে সমানভাবে দেখা যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন হোপ।

জানা গেছে, জমি কেনার পর ক্রেতাকে একটি বিক্রয় চুক্তি, কেনা জমির একটি স্যাটেলাইট ছবি এবং জমিটির ভৌগলিক অবস্থান ও মৌজা-পর্চার মতো আইনি নথিও পাঠিয়ে থাকে সংস্থাটি। এ ছাড়া কেউ যদি বেশি ব্যয় করতে রাজি থাকে, তাহলে তাদের জন্য চাঁদের সম্পূর্ণ মানচিত্র এবং অন্যান্য তথ্যও সরবরাহ করা হয়।

মার্কিন এই নাগরিক দাবি করে আসছেন, সৌরমণ্ডলের সব গ্রহের মালিক তিনি। ১৯৮০ সাল থেকে শুরু হয়ে গত ৪১ বছর ধরে ৬০ লাখের বেশি ক্রেতার কাছে চাঁদের ৬১ দশমিক ১ কোটি একর জমি বিক্রি করেছে লুনার অ্যাম্বাসি। চাঁদের সবচেয়ে বৃহদাকৃতির জমির অংশটিতে ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ একর জায়গা আছে। যদিও সেই জমির ক্রেতা এখনও পাননি হোপ। বেশি চাহিদা ১৮ শ থেকে ২ হাজার একরের জমিগুলোর।

ক্রেতার ব্যাপারে কোনো বাছবিচার নেই ডেনিস হোপের। তারকা থেকে সাধারণ চাকরিজীবী, সবাই রয়েছেন তার ক্রেতার তালিকায়। তিনি দাবি করেছেন, তার কাছ থেকে ৬৭৫ জন নামি তারকা জমি কিনেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ, জিমি কার্টার এবং রোনাল্ড রিগ্যান।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাদা ছাড়াও জাপান ও কোরিয়ায় রয়েছে কার্যালয়। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে নেভাদায় লুনার অ্যাম্বাসির মূল কার্যালয়। সব মিলিয়ে ডজনখানেক কর্মী কাজ করেন সেখানে। জমির চাহিদার তারতম্য অনুযায়ী, কর্মী সংখ্যা বাড়ে-কমে। জাতিসংঘ বলেছিল, বিশ্বের কোনো দেশ বা কোনো দেশের সরকার সৌরজগতের কোনো মহাজাগতিক বস্তুর ওপর নিজেদের অধিকার, মালিকানা বা আইনি স্বত্ব দাবি করতে পারবে না। ১৯৬৭ সালে আনা ওই প্রস্তাবে পৃথিবীর প্রায় সবকটি দেশ সম্মতি দিয়েছিল। তবে ওই প্রস্তাবে কিছু অসম্পূর্ণতাও ছিল।