জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক নন, চার নম্বর পাঠক: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

স্বাধীনতা অর্জনের পর জনগণের মনে তৈরি হয় সমাজ নতুনভাবে গড়ে তোলার গভীর আকাঙ্ক্ষা। সেই সময় ভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক চর্চা প্রবর্তনের মাধ্যমে নাগরিকদের মনে সম্পূর্ণ নতুন চেতনা সৃষ্টি করা জরুরি।

নতুন খবর হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন, চার নম্বর পাঠক। তার আগে এম এ হান্নানসহ আওয়ামী লীগ নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনি জিয়াউর রহমানরা মিথ্যাচার করে ইতিহাসের বিকৃতি করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতিবিজড়িত স্থান রয়েছে, যেগুলো এখনো সংরক্ষণ করা হয়নি। কুচক্রী মহল যাতে ইতিহাসকে বিকৃত করতে না পারে, সে জন্য এসব স্থান সংরক্ষণ করা হবে।

তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য যে জায়গা বাছাই করা হয়েছে, সেটা চমৎকার একটা জায়গা। এত সুন্দর স্থান দেখে আমি অভিভূত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকা স্বর্ণের খনিতে রূপান্তর হবে। এ অঞ্চলের গুরুত্ব বাড়বে, ব্যাপক উন্নয়ন হবে।

তিনি আরো বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আন্তর্জাতিক মানের করে সংরক্ষণের কাজ চলছে। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের প্রথম রাজধানী মুজিবনগরকেও সংরক্ষণের জন্য কাজ চলছে। কিন্তু যেখান থেকে মানুষ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা শুনতে পেয়েছিল, সেই চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের বিষয়ে আমারা এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করিনি। চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মৃতিবিজড়িত স্থান রয়েছে, সেগুলো এখনো সংরক্ষণ হয়নি। আমরা সেগুলো সংরক্ষণে উদ্যোগ নেব।