ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫০ কি.মি. তীব্র যানজট

এবার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে মোট ৫০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী ও যানবাহন। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল থেকে যানজট বাড়তে থাকে।

এদিকে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের নলকা সেতুর কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় এবং এক পাশ দিয়ে যান চলাচল করার পাশাপাশি মহাসড়ক ভেঙে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় এই যানজট দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ জানায়, একদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম হতে নলকা সেতু হয়ে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা পেরিয়ে বগুড়ার দিকে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের কাছিকাটা ১০ নম্বর সেতু পার হয়ে নাটোরের দিকে এবং ঢাকা-পাবনা মহাসড়কেও এই যানজট দেখা গেছে। জেলার অন্তত ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কে তীব্র যানজট রয়েছে।

এ সময় হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নলকা সেতু ভেঙে যাওয়ায় এক পাশ দিয়ে যান চলাচল করাতে হচ্ছে। এতে একদিকের গাড়ি বন্ধ রেখে আরেক দিকের গাড়ি চলছে। এ ছাড়া সেতুটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় সেটাও চলাচল করাতে হচ্ছে খুব সাবধানে ও ধীরে। সেতুর আশেপাশের মহাসড়ক ভেঙে ভেঙে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে গাড়ি চাইলেও জোরে চলতে পারে না। মূলত এ কারণেই যানজট।

তিনি বলেন, যানজট একদিকে টাঙ্গাইল ও অন্যদিকে নাটোর ও বগুড়া জেলার বিভিন্ন সড়কে পৌঁছে গেছে। আমরা যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এদিকে যানজটের কারণে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টা থেকে এখনও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লাখও যাত্রী।

এদিকে পেশাগত কাজে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে রাত ২টায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের মুলিবাড়ি এলাকায় আটকে পড়েন প্রকৌশলী মোস্তাকিম। তিনি জানান, গতকাল রাত ২টার দিকে এখানে বাস দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত একটুও এগোতে পারেনি। ঈদের সময়ও এমন যানজট ও দুর্ভোগ দেখিনি।