দলের জন্য শতভাগ সৎ থেকে কাজ করি: মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আজকের এই উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে আসতে যে কয়জন ক্রিকেটার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁর মধ্যে মাহমুদউল্লাহ অন্যতম। এই পর্যন্ত অনেক রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছেন এই তারকা ক্রিকেটার।

নতুন খবর হচ্ছে, সাকিব আল হাসান আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা পেলে তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। সেই সময় থেকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কত্ব ও দলের ব্যাটিং অর্ডার সামলানোর দায়িত্বে চাপ সৃষ্টি হলেও এই চাপ সামলানোর কাজ উপভোগ করেন তিনি।

স্বভাবতই তাই গুরুদায়িত্ব পালনে কোনো একঘেয়েমি আসে না রিয়াদের। বরং অধিনায়কত্বের পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করে যেতে চান আরও অনেক দিন।

রিয়াদ বলেন, ‘একঘেয়েমির কিছু নেই, এটা আমার দায়িত্ব। এটার জন্য আমাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। পেশাদারিত্ব বলুন বা দায়িত্ববোধ থেকেই এই কাজ সবসময় করতে চাই। আমার পারফরম্যান্স যেন ধারাবাহিক রাখতে পারি।’

ব্যাটিং অর্ডার তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়লে রিয়াদের কাঁধেই বর্তায় দলকে সামলানোর দায়িত্ব। অধিনায়ক হিসেবে তো সামলাতে হচ্ছে গোটা দলটাই। রিয়াদ জানান, ‘দায়িত্বটা আমি ইতিবাচকভাবেই নেই। এই চ্যালেঞ্জটা নিতেও পছন্দ করি। যখন ব্যাটিং করি তখন এই ব্যাপার মাথায় আসে না, ব্যাটসম্যান হিসেবেই চিন্তা করি দলের পক্ষে কতটা অবদান রাখতে পারছি। দলের জয়ে অবদান রাখার মত ভালো কিছু হতে পারে না।’

অধিনায়ক হিসেবে রিয়াদের কার্যক্রম মূলত কেমন? এমন প্রশ্ন হয়ত অনেকবারই জেগেছে সমর্থকদের মনে। রিয়াদের ভাষ্য শুনে মনে হবে, অধিনায়কত্ব বোধহয় কঠিন কিছু নয়!

রিয়াদের ভাষ্য, ‘অধিনায়ক হিসেবে অনেক পরিকল্পনা থাকে, অনেক ভাবনাই মনে ঘুরে। টিম ম্যানেজমেন্টের সাথেও এই ভাবনাগুলো শেয়ার করি। দলের প্রয়োজন আর ঘাটতি কী আছে তা খুঁজে বের করা এবং তা পরিপূর্ণ করতে কী করতে হবে… এই জিনিসগুলো নিয়ে ভাবনা থাকে। চেষ্টা করি প্রক্রিয়া ঠিক রেখে যেন দুর্বলতা বের করে পূর্ণতা আনতে পারি।’

নিজের দায়িত্ব পালনে সতর্ক ও সচেতন রিয়াদ সবসময় রাখেন সজাগ দৃষ্টি। নিজেকে মূল্যায়নের কঠিন কাজে না গিয়ে সেই দায়িত্ব সতীর্থদের ওপরই বর্তালেন দলের ভার বয়ে চলা রিয়াদ।

রিয়াদ বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্বের প্রতি শতভাগ সৎ থেকে কাজ করার চেষ্টা করি। আমি কতটুকু ভালো করছি বা না করছি এটা আমার দল ও সতীর্থরা ভালো বলতে পারবে।