দুর্দান্ত জয়ে সুপার টুয়েলভসে যাবার আশা টিকে রইল বাংলাদেশের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ওমানকে ২৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আসরে দলের প্রথম জয়ে সুপার টুয়েলভের আশা বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা। গতকাল রাতে ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতে মাত্র ২৯ রান জড়ো করে বাংলাদেশ, ২ উইকেট হারিয়ে।

দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান একাদশে ফেরা ওপেনার নাঈম শেখ। ৫০ বলের মোকাবেলায় ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৬৪ রান করেন তিনি। দারুণ লড়াই করেছেন সাকিবও। ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর তৃতীয় উইকেটে নাঈমকে নিয়ে গড়েন ৮০ রানের পার্টনারশিপ। ৬টি চারে ২৯ বলে ৪২ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

শেষদিকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ বলে ১৭ রান করেন। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি ঘটানো শেখ মেহেদী হাসান (তিনে নেমে ৪ বলে ০), নুরুল হাসান সোহান (পাঁচে নেমে ৪ বলে ৩), আফিফ হোসেন ধ্রুব (ছয়ে নেমে ৫ বলে ১) নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। ব্যর্থ ছিলেন মুশফিকুর রহিমও (৪ বলে ৬ রান)। নাঈম, সাকিব ও রিয়াদ ছাড়া আর কারও রানই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। ওমানের পক্ষে বিলাল খান ও ফায়াজ বাট তিনটি করে এবং কলিমউল্লাহ দুটি উইকেট শিকার করেন।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬ ওভারে স্বাগতিকরা জড়ো করে ৪৭ রান। এই সময়ে জোড়া উইকেট শিকার করা মুস্তাফিজ দ্বিতীয় ওভারে পাঁচটি ওয়াইড বল করেন। তাতে দল কিছুটা চাপে পড়ে যায়। ওমানের ওপেনার জতিন্দর সিং একপ্রান্ত আগলে রেখে হুমকি ছড়ান বাংলাদেশ দলে।

দলীয় ৮১ রানে অধিনায়ক জিশান মাকসুদকে সাজঘরের পথ দেখান শেখ মেহেদী হাসান। হুমকি হয়ে ওঠা জতিন্দরকে ফিরিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলের মোকাবেলায় ৪০ রান করেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকানো জতিন্দর। মেহেদীর করা ৪ ওভারে ওমান হারায় একটি উইকেট, জড়ো করে মাত্র ১৪ রান।

পঞ্চম উইকেটে চাপ সামাল দিতে পারেননি আয়ান খান ও সন্দ্বীপ গউদ। সাইফউদ্দিন তাদের জুটি ভাঙার পর ১৭তম ওভারে সাকিব শিকার করেন জোড়া উইকেট। ১৮তম ওভারে আক্রমণে এসে মুস্তাফিজ শিকার করেন নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান জড়ো করে ওমান। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান চারটি, সাকিব আল হাসান তিনটি এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মেহেদী হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।