নগদ ক্ষতিপূরণ নইলে চাকরি: হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ৮ দফা দাবি

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী যে কমেছে সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ আদমশুমারিই সেটা প্রমাণ করে৷ কত কমেছে সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা সংখ্যায় কেন কমেছে৷

নতুন খবর হচ্ছে, দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত ও নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের বিচারে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ আট দফা দাবির সাথে সাথে ঘোষণা করা হয়েছে তিন দফা কর্মসূচিও।

এর আগে শনিবার (২৩ অক্টোবর) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সকাল ছয়টা থেকে শুরু হয় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পূর্বঘোষিত গণ অনশন, গণ অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল। এতে সংহতি জানিয়ে অবস্থান নেয় বিভিন্ন সংগঠন। অবরোধ হয় শাহবাগ মোড়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির পানি পান করিয়ে আন্দোলনকারীদের অনশন ভাঙান। পরে আয়োজকরা বিক্ষোভ মিছিল বের শাহবাগ মোড় ছেড়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের দিকে পদযাত্রা করেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন অবরোধকারীরাও। বেলা ১২টায় শেষ হয় কর্মসূচিটি।

‘গণঅনশন ও গণঅবস্থান’ কর্মসূচি শেষ করার আগে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ সংগঠনের পক্ষে আট দফা দাবি উত্থাপন করেন।

দাবিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সব মন্দির, বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ, গৃহহীনদের পুনর্বাসন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে ন্যুনতম ২০ লাখ টাকা প্রদান অথবা প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের একজনকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দিতে হবে।

ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক হামলাকারী ও তাদের পেছনে থাকা চক্রান্তকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে।

বলা হয়, বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় এনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুততম সময়ে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এমনকি প্রশাসনিক গাফেলতির প্রত্যেকটি অভিযোগ খতিয়ে দেখার দাবিও জানান তারা।