নেপালের জালে বাংলাদেশের গোল

নিঃসন্দেহে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ৯০ মিনিটের এই খেলায় খেলোয়াড় এবং দর্শকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আর খেলা মানেই রেকর্ড ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা। একজন খেলোয়াড়ের রেকর্ড আরেক খেলোয়াড় ভেঙ্গে দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়বে, সৃষ্টি করবে নতুন এক ইতিহাস।

নতুন খবর হচ্ছে, গত তিন ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও একাধিক পরিবর্তন বাংলাদেশ দলে। আজ (বুধবার) নেপালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে কোচ অস্কার ব্রুজন আগের ম্যাচের একাদশ থেকে চারজন পরিবর্তন করেছেন।

মালদ্বীপ ম্যাচে কার্ডের জন্য ছিলেন না উইঙ্গার রাকিব হোসেন ও ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। তারা দুজনই এই ম্যাচে ফিরেছেন। জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে গত ম্যাচে একাদশে খেলা সোহেল রানার৷ দুই কার্ডের জন্য এই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় আছেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে একাদশে ফেরা ২ জনের সঙ্গে আবার একাদশে জায়গা পেয়েছেন ঘরোয়া লিগে দেশি ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা সুমন রেজা।

মতিন মিয়া দুই ম্যাচ একাদশে খেলার পর আজ তাকে আবার রিজার্ভ বেঞ্চে যেতে হলো। গত ম্যাচে একাদশে খেলা রহমত মিয়ার বদলে টুটুল হোসেন বাদশা নামচ্ছেন একাদশে। বাদশা গত তিন ম্যাচ খেলেননি। শেষ ম্যাচ কোচ তাকে একাদশে সুযোগ দিচ্ছেন। একেবারে শেষ মুহূর্তে রহমতের পরিবর্তে বাদশাকে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোচ।

২০১৮ সালে ঢাকায় নেপালের বিপক্ষে খেলা অনেক ফুটবলারই রয়েছেন এই দলের একাদশে। আগের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা ভুলে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলতে পারলে দেশের ফুটবলে আবার প্রাণ সঞ্চার হবে। বাংলাদেশ নেপালের সর্বশেষ লড়াইয়ে নেপাল ২-১ গোলে জিতেছিল নিজেদের মাঠে। আর সাফের সর্বশেষ তিন ম্যাচে (২০১১, ২০১৩ ও ২০১৮) বাংলাদেশ নেপালের বিপক্ষে হেরেছে। এবার নেপাল ড্র করলে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলবে আর বাংলাদেশ জিতলে চতুর্থবারের মতো শিরোপার মঞ্চে থাকবে।

নেপালের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একাদশ: আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, তারিক কাজী, বিশ্বনাথ ঘোষ , টুটল হোসেন বাদশা , জামাল ভূঁইয়া (অধিনায়ক), ইব্রাহীম, বিপলু, সাদ উদ্দিন, রাকিব হোসেন ও সুমন রেজা।

এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ১-০ নেপাল
স্কোরারঃ সুমন রেজা।