নেপালের বিপক্ষে জিতে ইতিহাস গড়তে চান জামাল ভূঁইয়া

নিঃসন্দেহে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ৯০ মিনিটের এই খেলায় খেলোয়াড় এবং দর্শকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আর খেলা মানেই রেকর্ড ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা। একজন খেলোয়াড়ের রেকর্ড আরেক খেলোয়াড় ভেঙ্গে দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়বে, সৃষ্টি করবে নতুন এক ইতিহাস।

নতুন খবর হচ্ছে, শেষবার সাফ শিরোপা জয়ের পেরিয়ে গেছে দেড়যুগ; শেষবার ফাইনালে ওঠার পেরিয়েছে ১৬ বছর। দুটিরই সুযোগ আবারো এসেছে বাংলাদেশ দলের সামনে। বুধবার নেপালের সাথে জিতলেই ২০০৫ সালের পর প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলের ফাইনালে চলে যাবে বাংলাদেশ। অপর ম্যাচে একই সমীকরণ নিয়ে ভারত মুখোমুখি হচ্ছে মালদ্বীপের। দুটি ম্যাচের ফলাফলের কোন প্রভাব একে অপরের ওপর পড়ছে না বিধায় এই দুটি ম্যাচ বলা যায় অঘোষিত সেমিফাইনালই হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া ও কোচ অস্কার ব্রুজনের কন্ঠে তাই ঝড়ল ১৬ বছরের ব্যর্থতার শেকল ভাঙ্গার প্রত্যয়।

“আমি অতীতের ব্যাপারে কথা বলতে পছন্দ করি না। আমাদের এখন যে দল আছে সেটি যেকোন বিচারেই এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সেরা দল। এবং আমি বিশ্বাস করি আমরা আগামীকাল ইতিহাস গড়তে পারব, খেলোয়াড়রাও সেটি বিশ্বাস করে এবং তারা নিজেদের শতভাগ দিতে প্রস্তুত”- বলেছেন জামাল

মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচের পর বিশ্রাম অনুশীলন মিলিয়ে পাঁচ দিনের গ্যাপের পর নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। জিতলে ফাইনালে চলে যাবে এটা সত্য, কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ‘জয়’ ছাড়া অন্য কোন পথই বাংলাদেশের নেই। ড্র হলেই বাদ পড়বে বাংলাদেশ, ফাইনালে চলে যাবে নেপাল। এমনিতেই জমাট রক্ষণ ও প্রতিআক্রমণের কৌশলে খেলা নেপাল এই ম্যাচেও যে একই পন্থা অবলম্বন করবে তা ভালোই জানা আছে বাংলাদেশের কোচ অস্কার ব্রুজনের।

“নেপাল এমন দল নয় যারা আমাদের সাথে বলের দখলের জন্য লড়াই করবে। তারা খুবই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় ফুটবল খেলে। তাদের কিছু দ্রুতগতির খেলোয়াড় রয়েছে যারা প্রতিআক্রমণে দক্ষ। কাজেই সেই অনুযায়ী আমাদের পরিকল্পনা সাজাতে হবে।”

আক্রমণের ধার বাড়াতে দুইজন স্ট্রাইকার খেলাবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে সকৌতুক ব্রুজন বলেছেন, “যদি দরকার হয় চারজন স্ট্রাইকার খেলাবো”।