পরের ম্যাচে ভুল শুধরে নেবেন টাইগাররা

বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কার খেলা মানেই টানটান উত্তেজনা। খেলার মাঠে কোন দুই হার মেনে নিতে চায়না, তবে শেষ হাসি হাঁসতে হয় যে কোন এক দলকেই

নতুন খবর হচ্ছে, ব্যাটিংটা ভালো হলো। স্কোরবোর্ডে ১৭১—জয়ের মতোই সংগ্রহ। তবু হেরে গেল বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অকপটেই স্বীকার করলেন নিজেদের ভুলভ্রান্তি। তবে তাঁর কণ্ঠে আশার বাণীও। পরের ম্যাচে ভুল শুধরে নেবেন প্রত্যয় জানাতেও ভোলেননি।

১৭১ রান জয়ের মতোই স্কোর। কিন্তু বোলিং জেতার মতো যথেষ্ট ভালো হলো না। সেই সঙ্গে ফিল্ডিংও। লিটন দাস দুই সেরা লঙ্কান ব্যাটসম্যান চারিথ আসালাঙ্কা আর ভানুকা রাজাপক্ষের ক্যাচ ফেললেন। ওই সময় গোটা দলের অভিব্যক্তিই বলছিল—এমন ক্যাচ পড়ে গেলে ম্যাচ জিতব কীভাবে! লিটন আসালাঙ্কার ক্যাচ ফেলেছেন ৬৩ রানে, এর আগে রাজাপক্ষের—৯ রানে। দুটিই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। ক্যাচ দুটি ধরলে হিসেবটা পাল্টে যেতে পারত।

মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, ১৭১ রান জেতার মতোই ছিল, ‘আমার মনে হয়, ১৭১ রান নিয়ে জিজতে পারতাম আমরা। লিটন দাস আর মোহাম্মদ নাঈম দারুণ একটা শুরু এনে দিয়েছিল। ১০ ওভার পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি ম্যাচে ছিলাম। মুশফিক দারুণ একটা ইনিংস খেলেছে। কিন্তু ১০ ওভারের পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকে। আমরা নিয়ন্ত্রণ হারাই।’

শ্রীলঙ্কা আজ পেস বোলিংয়ের ওপর নির্ভর করেছে। বাংলাদেশ তাসকিন আহমেদকে বসিয়ে নাসুমকে খেলিয়েছে। নাসুম উইকেট পেয়েছেন। শুরুতে তাঁর আঘাতই আশা জাগে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুমের অন্তর্ভুক্তিও কার্যকর প্রমাণ করা যায়নি। একাদশ নির্বাচনে কি তাহলে ভুল ছিল বাংলাদেশের? মাহমুদউল্লাহ অবশ্য নিজেদের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেন, ‘এই মাঠে আইপিএলের ম্যাচ দেখেছি। আমাদের ভাবনা ছিল শারজার উইকেটে একজন অতিরিক্ত স্পিনার হয়তো কাজে লাগতে পারে। স্পিনাররা ভালোই করেছে। কিন্তু আমরা তো সুযোগ হারিয়েছি।’