পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদির খান মারা গেছেন

“মৃত্যু” এক নির্মম, কঠিন বাস্তবতার নাম। মৃত্যু এমন এক মেহমান, যে দরজায় এসে দাড়িয়ে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দুনিয়ার কারো নেই! মৃত্যু যেকোন বয়সের, যেকোন মানুষের সামনে, যেকোন সময়ে উপস্থিত হতে পারে!

নতুন খবর হচ্ছে, পাকিস্তানের বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও পরমাণু বোমার জনক বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান মারা গেছেন। রবিবার (১০ অক্টোবর) সকালে তিনি ইসলামাবাদের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

জিয়োটিভির খবরে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ড. আবদুল কাদির খান। এরপর তিনি রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর ঘরে ফেরেন তিনি।

এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‌‘ড. আবদুল কাদির খানের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। ১৯৮২ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় ও সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি জাতীয় রক্ষাকবচ পারমাণবিক প্রতিরোধ গড়তে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিলেন। তাঁর এ অবদানের কথা জাতি কখনো ভুলবে না।’

পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমদ জানান, ড. আবদুল কাদির খানের অন্তিম ইচ্ছা ছিল, তার জানাজা যেন ফয়সাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে তার মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি বলে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাক।