চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আসরের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে একরকম দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিলো স্প্যানিশ ক্লাব এফসি বার্সেলোনার। তাই পরের রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে ডাইনামো কিয়েভের বিপক্ষে জিততেই হতো ব্লগ্রানাদের। অবশেষে জেরার্ড পিকের করা একমাত্র গোলে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েছে কাতালানরা।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ নষ্টের পর মেলে কাঙ্ক্ষিত গোল। যার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় বার্সেলোনা। বার্সার ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে গতকাল বুধবার ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে রোনাল্ড কোম্যানের দল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন জেরার্ড পিকে।
এদিকে স্প্যানিশ লা লিগায় গত রোববার ভালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পাওয়া বার্সেলোনার সামনে দ্বিতীয় মিনিটেই আসে দারুণ সুযোগ। বাম দিক থেকে জর্ডি আলবার দূরের পোস্টে বাড়ানো ক্রসে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সের্জিনো ডেস্ট।
অষ্টাদশ মিনিটে হাতছাড়া হয় আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ। স্বদেশি মেমফিস ডিপাইয়ের ফ্রি-কিকে ১০ গজ দূর থেকে বাইরে হেড করেন এই মৌসুমে সেভিয়া থেকে ধারে আসা ডাচ ফরোয়ার্ড লুক ডি ইয়ং। তিন মিনিট পর দুর্দান্ত এক সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন ডাইনামোর গোলরক্ষক গিওর্গি বুশচান। ২০ গজ দূর থেকে লুক ডি ইয়ংয়ের শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ব্যর্থ করে দেন তিনি।
৩৫তম মিনিটে ভালো পজিশনে বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট মেরে হতাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার ডেস্ট। পরের মিনিটেই আরেক ডিফেন্ডারের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আলবার দারুণ ক্রসে কাছ থেকে ভলিতে বল জালে পাঠান পিকে। লুক ডি ইয়ং ও অস্কার মিনগেসার জায়গায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে যথাক্রমে আনসু ফাতি ও ফিলিপে কুটিনহোকে মাঠে নামান কোম্যান।
৫৩তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ফাতি। বুশচান পজেশন হারালে আলগা বল পেয়ে মেমফিস পাস দেন তরুণ ফরোয়ার্ডকে। তার ওভারহেড কিক লক্ষ্যে থাকেনি। ৭৫তম মিনিটে মেমফিসের বদলি নামেন ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে শেষ দিকে নেমে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেক হওয়া সার্জিও আগুয়েরো। বাকি সময়ে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
এদিকে তিন ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তিন নম্বরে আছে বার্সেলোনা। ১ পয়েন্ট নিয়ে চারে ডাইনামো কিয়েভ। ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে বেনফিকা আছে দুইয়ে।
